ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (West Bengal Mamata Banerjee)। তবে এবারে চিঠির ইস্যু ভ্যাকসিন নয়। এবার 'জনস্বার্থবিরোধী' বিদ্যুৎবণ্টন সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করেই চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ, "কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই মোদি সরকার সংসদে এই বিল পেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা একতরফা সিদ্ধান্ত। এই আইন কার্যকর হলে রাজ্যের অধিকার খর্ব হবে। এই সংশোধনী বিল যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী।"
তাই এদিন চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "সংবিধান অনুযায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র-রাজ্যের যুগ্ম তালিকায় থাকা বিষয়। অথচ রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনাই করা হচ্ছে না। বিল পাশ হলে বিদ্যুৎ বন্টন ব্যবস্থার উপর থেকে রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে। যার জেরে সমস্যায় পড়বেন রাজ্যের গরিব মানুষেরা।"
অন্যদিকে, সেপ্টেম্বরেই আবার নয়াদিল্লি সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তিনি কথা দিয়েছিলেন দু’মাস অন্তর নয়াদিল্লি যাবেন। সূত্রের খবর, এবার তিনি দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিরোধী দলগুলির নেতাদের সঙ্গে এবং কৃষক নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে বসতে পারেন। তাই বলা হচ্ছে ‘কিষান কনভেনশন’।
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর কৃষক আন্দোলন এবং কৃষির জন্য লড়াইয়ের কথা গোটা দেশ জানে। সিঙ্গুর আন্দোলন বিশ্বে সাড়া ফেলেছিল। আন্দোলন-লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জননেত্রী হয়ে উঠেছেন। কয়েকদিন আগে কলকাতায় নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন সংযুক্ত কিষান মোর্চার সভাপতি রাকেশ তিকাইত। তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন পরবর্তী নয়াদিল্লি সফরে এসে কৃষক সমাবেশের আয়োজন করবেন তিনি। তাই এবার নয়াদিল্লিতে এলে মুখ্যমন্ত্রী যেতে পারেন গাজীপুর, টিকরি বর্ডার এবং যন্তর মন্তরে। সেখানেই আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে চান তিনি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী দলগুলির জোট বাঁধতে শুরু করেছেন।"