প্রাকৃতিক দুর্যোগের (Natural calamity) সুযোগ নিয়ে একদল অসাধু ব্যবসায়ী মৃত গবাদি পশুর মাংস বিক্রি বা বাজারজাত করার চেষ্টা করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandyopadhyay) তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিলেন। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি সাফ জানিয়েছেন, এসব অনৈতিক কাজ তিনি বরদাস্ত করবেন না। প্রয়োজনে হানা দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার নবান্নে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "অনেকে আবার মরা পশুগুলো রেখে সেগুলোকে হোটেলে হোটেলে বিক্রি করে। আর সেই পচা জিনিস লোককে খাওয়ায়। কয়েকটা জায়গা আছে, বন্যায় যেগুলো মারা যায় সেখানে তারা রেখে দেয়। কয়েকটা স্পট আছে। একবার রেড করা হয়েছিল। ধরা পড়ে গিয়েছিল।" এরপর মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক কর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, "সেটা যাতে না হয়, সেদিকে নজর রাখুন। নাকা চেকিং এবং মরা পশু কোথাও রাখা হচ্ছে কি না বা বিক্রি করা হচ্ছে কি না, কোনও হোটেলে বা দোকানে সাপ্লাই করা হচ্ছে কি না দেখতে হবে। কেউ এমন করলে সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু অ্যাকশান নিতে হবে।"
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে দুই ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ অঞ্চল এবং পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মানুষ এবং গবাদি পশুদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। তারপরও গবাদি পশু মৃত্যুর ঘটনা আটকানো যায়নি। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে উপকূলবর্তী অঞ্চলের বেশ কিছু পোল্ট্রি ফার্ম নষ্ট হয়েছে। এই সুযোগে একদল অসাধু ব্যবসায়ী সেই মৃত পশুদের চালান করে দেয়। যা শহরের বিভিন্ন হোটেল রেঁস্তোরায় পৌঁছে যায়। বছর কয়েক আগে ভাগাড় মাংস কান্ডে উত্তাল হয়েছিল গোটা শহর। এবার যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এসব অসাধু উপায়ে ব্যবসা করেন একদল মানুষ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই প্রশাসনকে কড়া হাতে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।