আজ ত্রিপুরায় (Tripura) পুরভোটের ফল ঘোষণার পরেই জানা গেছে, মোট ৩৩৪টি আসনের মধ্যে ৩২৯টিতে জিতেছে বিজেপি। এরপরেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী (CM) বিপ্লব দেব (Biplab Deb) বলেন, "ঐতিহাসিক দিন। সমস্ত ত্রিপুরাবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। রাজ্যেকে সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে যে ভাবে পদদলিত করা হচ্ছিল তারই উত্তর দিয়েছেন ত্রিপুরাবাসী।"
তবে ত্রিপুরায় পুরভোটের ফল ঘোষণার পরেই শক্ত মনে টুইটারে বার্তা দিলেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বিজেপিকে (BJP) চ্যালেঞ্জ করে অভিষেকের বার্তা, "সবে তো খেলা শুরু, এ বার আসল খেলা হবে।" সঙ্গে পুরভোট যে কিছুই নয়, তৃণমূলের লক্ষ্য আগামী বিধানসভা নির্বাচন। তা আবারও বুঝিয়ে দিলেন তিনি।
ত্রিপুরার দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে টুইটারে (Twitter) অভিষেকের বার্তা, "অত্যন্ত সামান্য উপস্থিতি থেকে একটি দলের পক্ষে পুরভোটে সফল ভাবে নির্বাচনে লড়া এবং ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে প্রধান বিরোধীর ভূমিকায় উঠে আসা সত্যিই অভূতপূর্ব ব্যাপার। মাত্র তিন মাস আগেই ত্রিপুরায় রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেছিলাম আমরা। আর ত্রিপুরায় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে কোনও সুযোগ ছাড়েনি বিজেপি। সাহসিকতার জন্য ত্রিপুরার দলীয় কর্মীদের অনেক অভিনন্দন।"
অন্যদিকে, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইট করে বলেন, "ত্রিপুরায় তৃণমূলের দু’মাসের সংগঠনকে ঠেকাতে এত হামলা, মামলা এবং তাণ্ডব চালানো হয়েছে। তার পরেও বহু ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়েছে তৃণমূল। আমবাসা ওয়ার্ডে জিতেছে দল। দলের লড়াই আর মানুষের সমর্থনকে ধন্যবাদ।"
তবে এসবের মাঝেই ত্রিপুরার ভোট প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, "বাংলায় তৃণমূলকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য নো ভোট ফর বিজেপি অভিযান চালিয়েছিল। আজও কলকাতার বিভিন্ন ফ্লাইওভারে এই পোস্টার দেখা যায়। স্বাভাবিক ভাবেই সেই নো ভোট ফর বিজেপি প্রচার কাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য চালিয়েছিল সিপিএম, সেটা আগে তারা ঠিক করুক। তারপর না হয় ত্রিপুরা নিয়ে ভাববে।"
টুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লেখেন, "পুরভোটে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার জন্য হার্দিক অভিনন্দন। পশ্চিমবঙ্গের দুর্নীতিগ্রস্ত দল তৃণমূলকে পরাজিত করার জন্য ত্রিপুরার মানুষের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।"