দিন কয়েক আগেই শোনা গিয়েছিল শাসক দলে যোগ দিতে পারেন শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের নেতা মইদুল ইসলাম এবং দূরে বদলি করে দেওয়ার প্রতিবাদে বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খাওয়া পাঁচ শিক্ষিকা। রটনা অনুযায়ী ঘটনাও ঘটল। রবিবার তৃণমূলের হাত ধরলেন ছ’জনেই। যদিও শুধু মইদুল নন, এদিন প্রত্যেক জেলার শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের ১৫ জন করে মোট ৩০০ জন সদস্য এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ২,০০০ সদস্য যোগদান করেছেন তৃণমূলে। এদিন ডায়মন্ড হারবারে ব্রাত্য বসুর হাত থেকে তাঁরা দলীয় পতাকা তুলে নেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অশোক দেব-সহ বাকি তৃণমূল নেতারাও।
এদিন তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে প্রতিবাদী শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম বলেন, “পেশাগতভাবে লড়াই করেছিলাম। আন্দোলন করেছি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। সরকার বলেছে, আন্দোলন নয়, আলোচনার মাধ্যমে আসতে। দাবী ন্যায্য হলে অবশ্যই দেখা হবে। হঠকারী আন্দোলন করেছিলাম, যা বুঝেছি। বিজেপি, বামপন্থী এবং অন্যান্য দলগুলি ফায়দা লুটছে। সংবাদমাধ্যমের সামনে পাশে থাকার কথা বললেও কাউকেই পাশে পাইনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে তৃণমূলে যোগ দিলাম। বুধ বা বৃহস্পতিবার ব্রাত্য বসু সময় দিয়েছেন। ওইদিন আলোচনা হবে”। যোগদানকারী শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের পাঁচ শিক্ষকের মুখেও শোনা গেল একই কথা।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গে বদলি করে দেওয়ার প্রতিবাদে বিকাশ ভবনের সামনে গত ২৪ অগাস্ট বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন পাঁচ শিক্ষিকা। সেই প্রতিবাদে তাঁদের সাথে সামিল হয়েছিল শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চও। বিষ খাওয়া শিক্ষিকাদের মধ্যে দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি পর্যন্ত করা হয়। তবে বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন প্রত্যেকেই। তখন বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খাওয়ার অভিযোগে শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে আইনভঙ্গের মামলা করে পুলিশ। তার প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে আদিগঙ্গায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন মইদুলও। যদিও এখন সবই অতীত। তাঁরাই হাত ধরেছেন তৃণমূলের। তৃণমূলে যোগদান করে শিক্ষিকারা মন্তব্য করেছেন, ‘পেশার স্বার্থে হঠকারী সিদ্ধান্তে আন্দোলন করে ভুল করেছেন তাঁরা’।