এবারে প্রাক্ প্রাথমিক স্তর থেকে একেবারে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বদলানো হচ্ছে রাজ্যের স্কুলের সিলেবাস। শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) উপস্থিতিতে বিকাশ ভবনে একটি নবগঠিত স্কুল শিক্ষা বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। চলিত সিলেবাস কেমন ছিল এই নিয়ে রাজ্যের ১৩০০ প্রথম সারির স্কুলে সমীক্ষার একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই হিসাবে এবার সদস্যদের পাশাপাশি নতুন সিলেবাস নিয়ে জেলার শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলা হয়। শিক্ষামন্ত্রী চাইছেন যেন মেন্টররা সকলের সাথে ভালোভাবে কথা বলুন।
কেন্দ্রের বিকল্প রাজ্যের শিক্ষানীতি নিয়ে যদিও আলাদা একটি বৈঠক করা হয়েছে। আমেরিকা থেকে ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তীর স্পিভাক। এই বৈঠকে স্কুল পাঠের বদলে সুপারিশ করে প্রচলিত বইগুলিকে পাঠানো হয়েছিল গায়ত্রী দেবীর কাছে। তিনি যদিও এখনো পর্যন্ত কোন পূর্ণ মতামত জানাননি। অন্যদিকে প্রচলিত পাঠ্যপুস্তক এর মান খতিয়ে দেখার জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি কমিটি। ২ জুন আবারও এই মর্মে একটি বৈঠক করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই স্কুলশিক্ষা বিশেষজ্ঞ কমিটি সম্পূর্ণরূপে ঢেলে সাজিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। প্রতি বিষয়ে একজন করে অধ্যাপককে মেন্টর করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ওএসডি কে করা হয়েছে মেম্বার সেক্রেটারি। এ ছাড়াও একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে রয়েছেন ৯ জন মেন্টর। তাদের সকলকে নিয়ে ২০১১ সালে তৈরি করা হয়েছিল স্কুলশিক্ষা বিশেষজ্ঞ কমিটি। কমিটির প্রধান কাজ হল প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সিলেবাস নিয়ে পর্যালোচনা করা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার বা বদলের সুপারিশ করা।