আড়াই বছর আগের একটি দেহরক্ষী মৃত্যুর ঘটনা এবং সেই নিয়ে এবারে কাঁথি থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই দেহরক্ষীর স্ত্রী। সেই নিয়ে বর্তমানে রাজ্য রাজনীতি একেবারে দোলাচলে কারণ এই মামলায় সরাসরি অভিযোগের তীর শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। এবারে সেই মামলায় নিজের নাম জড়ানো নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি সাংবাদিক বৈঠকে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন। শুভেন্দু অধিকারী বললেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ওই ঘটনার আড়াই বছর পরে কেন এই তৎপরতা? প্রশ্ন শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি আরো বলেছেন, "এইসব ভয় দেখিয়ে পুলিশ দেখিয়ে কোন লাভ নেই।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিন, নন্দীগ্রামে তাকে হারিয়েছি তাই কয়েক মাস আমাকে জেলে যেতে হবে। যদি সেটাই হয়, আমি তাহলে সেই নির্দেশ মেনে নেব। উনি আমার থেকে বয়সে বড়, তাই আমি একথা বললাম।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত আড়াই বছর আগে কাঁথির পুলিশ ব্যারাকে মাথায় গুলি লেগে গুরুতর জখম হয়ে ছিলেন তৎকালীন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী। তার স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল দাবি করেছেন, তার স্বামীর মৃত্যুর তদন্ত করতে হবে। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, একজন প্রথম সারির তৎকালীন মন্ত্রীর দেহরক্ষীর চিকিৎসায় এম্বুলেন্স আসতে এত দেরি কেন হয়ে গেল? এছাড়াও, এতদিন পর্যন্ত প্রভাব-প্রতিপত্তি থাকার কারণে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তিনি মামলা দায়ের করতে পারেননি বলেও জানিয়েছেন। শুভেন্দুর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই কাঁথি থানায় ৩২০ এবং ১২০বি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী সেই ঘটনাটি কে সম্পূর্ণরূপে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এছাড়াও, তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন সুপর্ণার অভিযোগপত্রের প্রতিলিপিতে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরার নাম রয়েছে, তাই তার বিরুদ্ধে তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন কুনাল ঘোষ। অন্যদিকে এই ঘটনায় শুভেন্দুর দাবি, দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা পড়ে গিয়েছে এবং তদন্ত শেষ হয়ে গেছে। এমনকি, ইতিমধ্যেই মৃতের পরিবারের তরফ থেকে জীবন বীমার টাকাও তুলে নেওয়া হয়েছে। এই মামলা সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে করা হয়েছে বলেও শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ জানিয়েছেন।