রাজ্যে (West Bengal) একাধিক অপ্রীতিকর ঘটনায় (Crime News) কার্যত সরব বিজেপি (BJP) সহ অন্যান্য বিরোধী দল। স্বয়ং রাজ্যপালও (Jagdeep Dhankhar, Governor) একের পর এক ঘটনায় কার্যত 'বাকরুদ্ধ'। তলব করেছেন রিপোর্টও। এদিকে রাজ্যে ঘটে যাওয়া নানান ঘটনার তদন্তে রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) উপর ভরসা করতে পারছে না আমজনতা (Anis Khan Death Case, Rampurhat Clash, Hanskhali Rape Case) থেকে হাইকোর্ট (Kolkata High Court)। পরিশেষে একাধিক মামলার তদন্তভার গ্রহণ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তথা সিবিআই (CBI)।
এবার এই ইস্যুতে কার্যত মুখ খুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আরও একবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বগটুই কাণ্ড, হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার বীরভূমের সিউড়িতে আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। এদিনের মিছিল থেকে বিস্ফোরক দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, “ভোটাভুটির নিরিখে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতাই থাকুন। ৩৫৫ ধারা দিয়ে দিক। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ে নিক।"
শুভেন্দুর এমন মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁর বার্তা, "এমনিই ওর মাথায় গণ্ডগোল। গরমে হাঁটতে হাঁটতে মাথার তালু গরম হলে এসব কথা বলে। পাগলামি আরও বেড়ে যায়। বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে যখন কুৎসিত ঘটনা ঘটে তখন কোথায় থাকে? যোগীরাজ্যে উন্নাও, হাথরসের ঘটনা ঘটলে কোখায় থাকে? ত্রিপুরায় ঢালাও সন্ত্রাসের সময় কোথায় থাকে? বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। অথচ অযথা কুৎসা করা হচ্ছে।"
শুভেন্দুর মন্তব্যকে অবশ্য আমল দিতেই নারাজ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তাঁর মতে, “শুভেন্দুর কথায় কিছু আসে যায় কিনা জানিনা। উনি মমতার ভাষাতেই কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে রক্ষা করতে সুকৌশলে দিল্লির প্রচেষ্টা রয়েছে তা সকলেই জানেন। তবে এই ধরনের মন্তব্যকে সমর্থন করি না। বিজেপি কি আধাখেচড়া রাজ্য চাইছে? বাংলা বিজেপির ইচ্ছায় দিল্লির মতো হবে নাকি?"