একুশের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন কমিশনের কাছে। তাতেই উল্লেখ থাকছে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মোট হিসেব। নন্দীগ্রামে হাইভোল্টেজ যুযুধানে মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী। তিনদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী জমা দেন তাঁর মনোনয়নপত্র যাতে মোট ব্যক্তিগত সম্পত্তি পরিমাণ উল্লেখ করেন ১৬.৭২ লক্ষ টাকা। গত বিধানসভা নির্বাচন, অর্থাৎ ২০১৬ সালের হলফনামা অনুযায়ী তাঁর সম্পত্তির ছিল ৩০.৭৫ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে প্রায় পঁয়তাল্লিশ শতাংশ সম্পদ কমেছে মুখ্যমন্ত্রীর। অন্যদিকে, গত দিনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মোট অর্থমূল্য ৯০ লাখ ৬ হাজার ১৪৯ টাকা ৩২ পয়সা( স্থাবর : ৩০ লাখ ৭৪ হাজার ৬০২ টাকা ও অস্থাবর: ৫৯ লাখ ৩১ হাজার ৬৪৭ টাকা ৩৫ পয়সা) যা গত বিধানসভা নির্বাচনে ছিল ৬২ লাখ ৬০ হাজার ৭৪২ টাকা ৩৫ পয়সা। মুখ্যমন্ত্রীর তুলনায় শুভেন্দুর বতর্মান মোট সম্পদ প্রায় সাড়ে পাঁচগুণ বেশি।
একদিকে শুভেন্দু যেমন বলেছেন, "নন্দীগ্রাম শুধুমাত্র একটি বিধানসভা কেন্দ্র নয়, এর সঙ্গে বাংলার ১১ বছরের পরিবর্তনও যুক্ত রয়েছে।" আরো বলেন 'প্রাইভেট লিমিটেড' তৃণমূলের আর কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। এর থেকে রাজ্যকে উদ্ধার করতেই তার এই বিজেপিতে যোগদান। যদিও এই সব কথাকে খন্ডন করে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেন, "২০১১ সালের সব ভুল ২০২১ সালে এসে শুভেন্দুর মনে পড়ল। উনি যা বলছেন সেটা সুস্থ মস্তিষ্কের কেউ বলবেন না। শুভেন্দু নিজেও জানেন জয় তো দূরের কথা, নন্দীগ্রামে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।" অতএব ভোটের ময়দানে এবার নন্দীগ্রাম যে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে, বলাই বাহুল্য।