কুলতলী সভা থেকে রবিবার শুভেন্দুকে ঘুষখোর বলে আক্রমণ করেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেছিলেন, '১০ বছর খেয়ে মধু মীরজাফর এখন সাজছে সাধু।' শুভেন্দু সেদিনই বলেছিলেন, তমলুকের জনসভা থেকে অভিষেকের প্রত্যেকটি আক্রমণের উত্তর দেব। এদিন ঠিক এমনটাই করলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া দোর্দণ্ড প্রতাপ নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু এদিন বললেন, কাল তোলাবাজ ভাইপো তিনটে কথা বলেছে। এক, শুভেন্দু ঘুষখোর। দুই, শুভেন্দু মধুখোর। তিন, শুভেন্দু বিশ্বাসঘাতক। ঘুষখোর প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, আমাকে খবরের কাগজে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। আমার কথা ওকে ভাবতে হবে না, ও বরং ভাবুক সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং মাস্টারমশাই সৌগত রায়ের ব্যাপারে। আর ভাবুক তার পিসিমণি কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং কাকু ববি হাকিমের কি হবে! পাশাপাশি শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিষেকের অভিযোগ ছিল, সুদীপ্ত সেন বলেছেন তিনি শুভেন্দু অধিকারী কে ৬ কোটি টাকা দিয়েছেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুভেন্দু বললেন, "আমি মন্ত্রিসভা থেকে ২৭ নভেম্বর পদত্যাগ করেছি। ১ ডিসেম্বর জেলে থাকা সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে চিঠি লিখেছে। কে লিখেছে? জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন আইপিএস মিস্টার পান্ডে। আর তাকে লিখতে কে বলেছে? নবান্নে বসে থাকা একজন আইপিএস অফিসার জিবি সিং। আর এসবের পেছনে রয়েছে তোলাবাজ ভাইপোর হাত।"

উল্লেখ্য কয়লা এবং গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুপ মাঝি তথা লালার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে সিবিআই। তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা লালার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি খতিয়ে দেখছে। এরমধ্যে রাজ্যের বেশকিছু পুলিশ আধিকারিক এবং প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম রয়েছে। এই প্রভাবশালীদের মধ্যে অভিষেক ব্যানার্জীর নাম কি রয়েছে? সেই নিয়ে সোজাসাপ্টা কিছু না বললেও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুললেন "ম্যাডাম নারোলা টা কে? লালার টাকা কোন একাউন্টে ঢুকছে?" শুভেন্দু অধিকারী দাবি করলেন লালার টাকা থাইল্যান্ডের কাসিকর্ন ব্যাংকের সিয়াম প্যারাগন শাখায় ডুকছে। প্রত্যেক মাসে ৩৬ লক্ষ টাকা করে সেই একাউন্টে পড়ছে এবং শুভেন্দুর কাছে রসিদ রয়েছে। পাশাপাশি শুভেন্দু অভিযোগ করেছেন অভিষেকের এমবিএ ডিগ্রী ভুয়ো। তার মতো জালিয়াত অত্যন্ত কম রয়েছে।