বিধানসভায় নজিরবিহীন বিক্ষোভ, তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতিতে। রাজ্যপালের ভাষণ ঘিরে এক ঘণ্টা ধরে বিধানসভায় চলে নাটকীয় পরিস্থিতি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, "বিধানসভায় অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে, আগে এরকম দেখেনি। বিজেপি যে অসভ্যতা, অভদ্রতা করল, হেরেও লজ্জা নেই। নিজের ওয়ার্ডেও জিততে পারেনি, হেরে গিয়ে পরিকল্পিত ভাবে নাটক করছে।"
তবে পাল্টা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ করলেন, তৃণমূল বিধায়করা নাকি রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে নিগ্রহ করেছেন। এমনকি রাজ্যে ৩৬৫ ধারার থেকেও কড়া পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারীর আরও মন্তব্য, "চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, শিউলি সাহা, সাবিনা ইয়াসমিন ও বেচারাম মান্না রাজ্যপালকে শারীরিক আক্রমণ করেছেন। এদের বিরুদ্ধে এফআইআর হওয়া উচিত। এদের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের ফৌজদারি আইনে পদক্ষেপ করা উচিত।"
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আরও অভিযোগ, "পুরভােটে গুন্ডা সাপ্লাই দিয়েছেন, সওকল মোল্লা, জাহাঙ্গীর খানেদের মতো ব্যক্তিরা। অনুব্রত মণ্ডল, উদয়ণ গুহদের মতো ব্যক্তি যাঁদের সিবিআই খুঁজছে। তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতাও ভোট দিতে পারেননি। প্রয়াত শিল্পীর নামেও ভোট পড়ে গিয়েছে। রাজ্যপালের ভাষণের প্রতিলিপি দেখে প্রতিবাদ করেছি। আলিপুরদুয়ার, কাঁথি, তমলুক, ঘাটালে ভোট লুঠ হয়েছে। যেভাবে ভোট লুঠ হয়েছে, এই ভোট আমরা মানি না।"