সে এখন জেলবন্দি। কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরী খুনে অভিযুক্ত। নিজেই আবার সেকথা স্বীকারও করেছে। বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার জুড়েই এখন কেবল তারই নাম। বন্দিদের পাশাপাশি যাঁরা সংশোধনাগারে বাকি বন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন, তাঁদের সকলের মুখেই কেবল সুশান্ত চৌধুরীর নাম।
কেমন আছে জেলবন্দি সুশান্ত চৌধুরী? সূত্রের খবর, বর্তমানে সুশান্ত নাকি ভাবলেশহীন। সুশান্ত নাকি এখন চুল-নখ কাটে না। ভুলে যাচ্ছে খাওয়ার কথা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এসব ক্ষেত্রে অনেক বন্দি স্মৃতিভ্রম রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সুশান্তর ক্ষেত্রেও কি তাহলে ধীরে ধীরে সেই রোগের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে? অধিকাংশ বলছেন, না হওয়ার কিছু নেই। অনেকেই বলছেন, এই জাতীয় বন্দিদের যেহেতু পূর্ব অপরাধের কোন রেকর্ড নেই, সেক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটিত করার পর নিজেদের ভেতর তীব্র অপরাধবোধ দানা বাঁধতে থাকে। তা ধীরে ধীরে রোগে পরিণত হয়।
কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরী খুনের পর থেকে একাধিক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন জনমত সংগঠিত হতেও দেখা গেছে। খুনের পর থেকে অস্বীকার করা দূরে থাকুক অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী নিজেই স্বীকার করেছে, সে-ই সুতপাকে খুন করেছে। সুযোগ পেলে সমস্ত কিছুই সে প্রকাশ্যে আনবে। যদিও যত সময় এগিয়েছে, তত সুশান্তের মানসিক পরিস্থিতির নাকি বদল হয়েছে। ক্রমশ মুখে কুলুপ, ধীরে ধীরে নিশ্চুপ। বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে দেখা করেনি। তার পক্ষের কোন আইনজীবী নেই।
উল্লেখ্য, বহরমপুর গার্লস কলেজের তৃতীয়বর্ষের ছাত্রী ছিল মৃতা সুতপা চৌধুরী। তার বাড়ি মালদার ইংরেজবাজার এলাকায়। বহরমপুরের সূর্যসেন রোডের একটি মেসে থাকত সে। ভর সন্ধ্যায় ছাত্রীকে কুপিয়ে খুন করেছিল সুশান্ত। অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছাত্রীকে একের পর এক কোপ দিয়ে খুন করে, সাধারণ মানুষকে বন্দুক দেখিয়ে পালিয়েছিল সে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হতে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিল।