কিছুদিন আগে ‘ইয়াসে’র তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর সহ পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় অঞ্চল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ধেয়ে আসছে আরও এক সাইক্লোন ‘গুলাব’। আর সে কারনেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরে বাঁধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে গেলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।
এর মাঝেই অভিযোগ উঠেছিল, সাইক্লোন ইয়াসের পর বেশ কিছু দিন অতিক্রান্ত হলেও সাগরের বঙ্কিমনগর এলাকায় নদীর কিছুটা অংশের কাজ এখনও শেষ হয়নি। আর সে কারনেই নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেলে আবারও বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জল ঢোকার আশঙ্কা দানা বেঁধেছে এলাকাবাসীর মনে। সে কারনেই পরিস্থিতি পরিদর্শনে খোদ মন্ত্রিমশাই। তবে তিনি যাওয়ার পরেই কাজে দ্রুততা এসেছে বলেই খবর সূত্রের। সূত্রের পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগামীকালের মধ্যেই নদীর বাকি অংশে বাঁধ মেরামতির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আজ সন্ধ্যাতেই ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ সীমান্ত সংলগ্ন উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ‘গুলাব’। আবহাওয়াবিদদের মতে, ওড়িশার গোপালপুর এবং অন্ধ্রের বিশাখাপত্তনমের মাঝে কলিঙ্গপত্তনমে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। সাইক্লোনের প্রভাব থেকে বাদ যাবে না এরাজ্যও। সে জন্য ইতিমধ্যেই দিঘাতে পুলিশি তৎপরতা তুঙ্গে। সমুদ্রে নামতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে পর্যটকদের উপর। মেদিনীপুর এবং ২৪ পরগনা সংলগ্ন উপকূলবর্তী এলাকায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। চলছে জোরকদমে মাইকিং। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সুন্দরবন পুলিশ। সমুদ্রেও চলছে পুলিশি প্রহরা।
দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য লালবাজার কন্ট্রোল রুমে খোলা হয়েছে ইউনিফায়েড কম্যান্ড সেন্টার। সেখানে সর্বক্ষণ উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন কলকাতা পুরসভা, পূর্ত দফতর, দমকল এবং সিইএসসি-র প্রতিনিধিরা। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতিকে দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের তরফে তৈরি করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২২ টি দল।