দীর্ঘ ৯ বছরের সুমধুর সম্পর্ক, তারপর ডিভোর্স নোটিশ, সব মিলিয়ে চরম দোলাচলে সৌমিত্র সুজাতার বৈবাহিক জীবন। সৌমিত্র অনড় হলেও সুজাতা এখনও মনে প্রাণে তাকেই মন দিয়ে রেখেছেন। আর এবারে সেই ব্যাপারটি আরো একবার স্পষ্ট হলো আমাদের সামনে। ১৪ই ফেব্রয়ারি ছিল প্রেম দিবস অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন্স ডে। এই দিনে প্রত্যেক প্রেমিক তার প্রিয়তমাকে খুশি করার জন্য উপহার দেন।পৃথক ছিলেন না বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ। তিনিও একজন ভালো স্বামী এবং প্রেমিক হিসাবে প্রত্যেক ভ্যালেন্টাইন্স ডের দিন সুজাতার জন্য নিয়ে আসতেন গোলাপ, চকোলেট, এবং অন্যান্য অনেক উপকরণ। কিন্তু এই সৌমিত্র এবারে সুজাতার কাছে নেই। দুজনের মাঝে দূরত্ব অনেক, ঠিক যতটা দূরত্ব বর্তমানে তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে। কিন্তু তবুও এখনও সুজাতার হৃদয়ে শুধু সৌমিত্র। তাই এবারের ভ্যালেন্টাইন্স ডের দিন সৌমিত্রকে ছাড়া মন ভারাক্রান্ত সুজাতার। অথচ তিনি জানেন, তার কিছু করার পর্যন্ত নেই। প্রেম দিবসের দিন তার পুরনো দিনের স্মৃতি শেয়ার করলেন সুজাতা।
২০১১ এর ২১ নভেম্বর, একটা স্মরণীয় দিন সৌমিত্র ও সুজাতার জীবনে। বাঁকুড়ার বরযোড়ায় একটি বিয়েবাড়িতে প্রথম চোখাচুখি, এবং প্রথম দর্শনেই ভালো লেগে যাওয়া। যাকে বলে লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট। তারপরেই ধীরে ধীরে গড়ে উঠলো সম্পর্ক। প্রত্যেক ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে সুজাতার জন্য গিফট আনতেন সৌমিত্র। তারপরেই ভালোবাসার দিনে দুজন দুজনের প্রতি বিশ্বাস রাখার প্রতিশ্রুতি নিতেন। আক্ষেপের সুরে সুজাতা বললেন, "সৌমিত্র কথা রাখলেন না।"
স্বামীকে পাশে না পেলেও ভালোবাসার দিনে নিজের অন্য ভালোবাসার মানুষদের সঙ্গে কাটালেন তৃণমূল নেত্রী। নিজের বাবা এবং মায়ের সাথে সময় কাটিয়ে তিনি ভোলার চেষ্টা করলেন সৌমিত্রর অনুপস্থিতি। কিন্তু পরক্ষণেই আবার উদাস গলায় সুজাতা বললেন, "সব অভাব তো আর পূরণ হয়না।" যদিও শেষে সৌমিত্রকে তিনি প্রেম দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে ভুললেন না। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে শ্লেষ উগ্রে দিয়ে তিনি বলেন, "যে দলের নেতারা মেয়েদের সম্মান দিতে জানেন না, সেই দলে না থাকাটাই শ্রেয়। বরং আমি মহিলা পরিচালিত একটি দলে যোগ দেব।"