ভোট হোক কিংবা পার্লারের ট্রিটমেন্ট, কোভিড বিধিতে ছাড় এসেছে সর্বক্ষেত্রেই। শুধু কারফিউ রয়েছে মগজে! তাই প্রতিবাদে চলছে "মগজের কারফিউ ভাঙার ক্লাসরুম"। বহুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রব উঠেছে "#reopencampus" কিংবা "#againstonlineexam"। তবে আজ সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় ছড়িয়ে পড়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে "রাস্তায় বসে মুখোমুখি ক্লাসরুম"। যেখানে দেখা যাচ্ছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপিকা নন্দিনী মুখার্জি রাস্তায় পড়ুয়াদের পড়াচ্ছেন।
এছাড়াও পড়ুয়াদের এদিন ক্লাস নিয়েছেন অধ্যাপক পার্থসারথী ভৌমিক।
মূলত পড়ুয়াদের দাবী, শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক, কর্মী ও পড়ুয়াদের শীঘ্রই ভ্যাকসিন দিয়ে, করোনাবিধিকে মান্যতা দিয়ে অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হোক। কারণ, স্বাভাবিকভাবেই করোনা পরিস্থিতির জেরে গতবছর থেকেই বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দরজা। মাঝে স্কুল খুললেও, ফের তা বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে বহু রাজ্যেই খুলেছে স্কুল। অন্যদিকে পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, বিধানসভা ভোট করোনার মধ্যেই হয়ে গেছে। সরকার আবার উপনির্বাচনের জন্য মরিয়া। সেক্ষেত্রে সরকারের দাবি, করোনা পরিস্থিতি বাংলায় স্বাভাবিক। তাই কেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না।
কলেজ পড়ুয়াদের অধিকাংশের মতামত, অনলাইনে ওপেন বুক এক্সামের কোনও মানে হয় না। নেটওয়ার্কের সমস্যার জেরে সম্ভব হচ্ছে না ক্লাস করা। এবং প্রতি কলেজেই ঠিক মতোন রুটিন অনুযায়ী সপ্তাহের ছ'দিন সব ক্লাস হচ্ছে, এমনটাও নয়। প্রাক্টিক্যাল ক্লাসের সুযোগ নেই। অথচ প্রতি সেমিস্টারেই গুনতে হচ্ছে ফিস। কাজেই তাঁদের দাবি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হোক।
তবে অভিভাবকদের একাংশ স্কুল খোলার পক্ষে হলেও, অনেকের মত। বাচ্চাদের ভ্যাকসিন এখনও বাজারে আসেনি। যতই বাচ্চাদের সাবধান করে স্কুলে পাঠানো হোক না কেন, বাচ্চারা না মানলে সোশ্যাল ডিস্টেন্স না সারাদিন পরতে পারবে মাস্ক। কাজেই, অনলাইনে পড়াশোনাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, পুজোর পরেই অল্টারনেটিভ ডে হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারে। তবে অবশ্যই সে সময়ের কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনা করে।