করোনা (Corona) সংক্রমনের দাপটের মাঝে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিক (Higher Secondary Exam) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। অন্যান্য বছরের তুলনায় পাশের হার রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও, মাধ্যমিকের মত ১০০ শতাংশ উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করতে পারেনি। এবারে পাশের হার ৯৭.০৭ শতাংশ। গতকাল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর একাধিক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা অকৃতকার্য হওয়ায় তারা বিক্ষোভ দেখায়। এমনকি নদীয়ার (Nadia) শান্তিপুরের এক স্কুলে একসঙ্গে ৭২ জন ফেল করায় ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়। জানা গিয়েছে, শান্তিপুর থানা এলাকায় বাগআঁচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে চলতি বছর ১৮০ জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৭২ জন ফেল করে। সেই জন্য তারা আজ স্কুল ঘেরাও করে রাস্তার মাঝে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ দেখায়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, "তাঁদের ভালো নাম্বার দিয়ে উত্তীর্ণ করতে হবে।" অবশ্য বিক্ষোভের পর ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পড়ুয়াদের আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, "ইতিমধ্যেই আমরা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সাথে কথা বলেছি। এছাড়াও সমস্যার কথা জানিয়ে মেল পাঠানো হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সংসদের সাথে কথা বলবে এক প্রতিনিধিদল। আশাকরি সমস্যার নিশ্চয় সমাধান হবে।"
শান্তিপুর ছাড়াও রাজ্যের একাধিক স্কুলের পড়ুয়ারা ফেল করার জন্য স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। এমনকি গতকাল রেজাল্ট শুনে আজ স্কুলে গিয়ে কলকাতার তিলজলায় এক পড়ুয়া আত্মহত্যা করার হুমকি দেয়। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এছাড়াও বীরভূম মুর্শিদাবাদ জেলার একাধিক স্কুলে অভিবাবকরা অভিযোগ জানায় যে মার্কশিট তৈরিতে ভুল করেছে সংসদ। এছাড়াও কিছু কিছু স্কুলের অভিভাবকরা জানান যে বিজ্ঞান বিভাগে পর্যাপ্ত নাম্বার দেওয়া হলেও কলা বিভাগের পড়ুয়ারা ঠিকমতো নাম্বার পায়নি। এবার যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি তাদের উচ্চ শিক্ষা সংসদ আদেও পাশ করায় নাকি সেটাই দেখার।
অন্যদিকে গতকাল থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন সংসদ সভানেত্রী মহুয়া দাস। তিনি ফলাফল ঘোষণার সময় প্রথম স্থানাধিকারী রুমানা সুলতানাকে "মুর্শিদাবাদের মুসলিম মেয়ে" বলে অভিহিত করে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন। আজ এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে একযোগে কটাক্ষ করে বিজেপি ও কংগ্রেস। তারপরই মহুয়া দাস বিতর্কে জল ঢেলে বলেছেন, "সংসদের ইতিহাসে রুমানা প্রথম যে এতো ভালো রেজাল্ট করেছে। ওকে দেখলে বেগম রোকেয়ার কথা মনে পড়ে। মেয়েটি শিক্ষার রত্ন। আবেগের বশে বলে ফেলেছিলাম। সাংবাদিকরা মেয়েটির সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। তাই কিছু তথ্য দিয়েছিলাম, যাঁতে মেয়েটিকে তাঁরা বুঝতে পারেন। মেয়েটির গৌরব সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছিলাম।"