একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election) আগে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার সময় তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়পক্ষ তাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছিল। এই নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল নানা রকমের প্রতিশ্রুতি। তৃণমূল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে রাজ্যের পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড (Student Credit Card) প্রকল্পের ঘোষণা করেছিল। তারপর বাংলার মানুষের ভালোবাসায় তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বারের মতো বাংলার শাসকদল হয়ে তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে। গত ৩০ জুন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের সূচনা করেন। এই প্রকল্পে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে শিক্ষামন্ত্রকের তরফে। মাত্র এই কয়েকদিনে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন ২৬ হাজার পড়ুয়া। যত সংখ্যক ছাত্রছাত্রী আবেদন করেছে তাতে ঋণের পরিমাণ প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা হবে।
প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের মাধ্যমে দশম থেকে শুরু করে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ডিপ্লোমা, গবেষণা, ডাক্তারি পড়ার ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোন পাওয়া যাবে। এমনকি যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের প্রাইভেট কোচিং ফি মেটানোর জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও লেখাপড়ার জন্য যাবতীয় খরচ, হোস্টেল ফি, বই খাতা ল্যাপটপ কেনার খরচ পাওয়া যাবে। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা অব্দি ঋণ পাওয়া যাবে। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পাওয়া যাবে। ঋণের মেয়াদ হবে ১৫ বছর। ঋণের গ্যারান্টার হবে রাজ্য সরকার।
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প যে বেশ সাফল্যমন্ডিত তার প্রমাণ দিয়েছে এই কয়েকদিনের মধ্যে আবেদনের পরিসংখ্যান। এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, "৯ জুলাই পর্যন্ত মোট আবেদনের সংখ্যা ২৫৮৪৭ টি। যার মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ১৬৩৮৪ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৯৪৬১ জন। উচ্চশিক্ষার জন্য যা টাকা লাগবে তা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা পাওয়ার জন্য দুশ্চিন্তা করতে হবে না। ইতিমধ্যেই, রাজ্যে পড়াশোনা করার জন্য আবেদন করেছেন ১৯৯৪৮ জন। রাজ্যের বাইরে পড়ার জন্য আবেদনের সংখ্যা ৫৮৯৯। অনলাইনে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে ব্যাংকের কাছে সরাসরি ঋণের জন্য আবেদন করা যাবে।"