অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সামিল পরীক্ষার্থীরা। কোথাও তারা কলেজ চত্বরে অবস্থান করলেন, আবার কোথাও বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দাবি পেশ করলেন উপাচার্যের কাছে। আবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছড়িয়ে পড়ল উত্তেজনা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ জায়গায় পৌঁছলো, ইউনিভার্সিটি তরফ থেকে ডাকতে হলে পুলিশ। শুধুমাত্র একটা কি দুটো ইউনিভার্সিটি নয়, রাজ্যের প্রায় প্রতিটি ইউনিভার্সিটিতেই একই রকম অবস্থা। সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা মঙ্গলবার কলেজে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে।
সকাল হতে না হতেই পড়ুয়াদের বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা যায়। অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তারা জানিয়েছেন, তাদের নাকি মাত্র ৭০ শতাংশ সিলেবাস পড়ানো হয়েছে অনলাইন মাধ্যমে। বাকি সিলেবাস নাকি শেষ পর্যন্ত হয়নি। অনলাইনে পঠন-পাঠন হবার ফলে অফলাইনে পরীক্ষা দিতে নারাজ বোলপুরের পূর্ণা দেবী চৌধুরী মহিলা কলেজের ছাত্রীরা। মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখাতে তারাও পথে নামেন। কাটোয়া গুসকরা কালনা সহ বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়ারা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও মঙ্গলবার বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়ারা জমায়েত হয়ে দেখালেন বিক্ষোভ। অন্যদিকে আবার এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য জড়িত বলে অভিযোগ তুলে বিধায়ক শংকর ঘোষ এবং আনন্দময় বর্মন এর নেতৃত্বে বিজেপি নেতা কর্মীরাও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ উঠেছে। এই সমস্ত প্রসঙ্গে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই চন্দ্র সাহা বলেছেন, "বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়ে দিয়েছে। এখনো ওই সিদ্ধান্ত বহাল আছে।" প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত সর্বমোট ৬৩টি কলেজে মোট ৩৫ হাজার পড়ুয়া রয়েছে।