“রাজ্য সরকার বনধ বিরোধী— বনধ সমর্থন না করলেও তৃণমূল এই বনধ-এর দাবিগুলো নীতিগতভাবে সমর্থন করে।”— দিনের শেষে শ্রমিক সংগঠনের ডাকা দেশব্যাপী ধর্মঘট বিষয়ে এমনই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম আইন এবং কৃষি আইনের বিরুদ্ধে এদিনের এই বনধে মিশ্র প্রভাব দেখা গেলো রাজ্যজুড়ে। সকালের দিকে হাওড়া কলকাতার রাস্তায় অনেক সংখ্যায় বাস চললেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তায় যাত্রী সংখ্যা কম থাকার কারণে বাসের সংখ্যাও কমতে থাকে। আন্তঃজেলা বাস চলাচলও বন্ধ ছিলো একপ্রকার। কিছু জায়গায় ট্রেন অবরোধ করার দরুন কিছু সময়ের জন্য ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়। অন্যদিকে চটকল সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও অনেক জায়গায় কারখানা বন্ধ ছিল এইদিনের বনধে। কিছুক্ষেত্রে সিপিআইএম এবং কংগ্রেস নেতা কর্মীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানালে পুলিশের সাথে বচসা বাঁধে। কয়েক জায়গায় লাঠিচার্জও করে পুলিশ।
দিনের শেষে বনধ নিয়ে সন্তুষ্ট বাম-কংগ্রেস নেতারা। সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিম বললেন, “রাজ্য সরকার সার্কুলার দেখিয়ে, চাকরি খাওয়ার ভয় দেখালেও মানুষ বনধের পক্ষে। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আজকের বনধকে সমর্থন করেছে। আমাদের নতুন পর্বের আন্দোলনের শুরু এই বনধ থেকেই। এইবার রাজ্যস্তরে-জেলাস্তরে নিজেদের দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামবো আমরা।”
যদিও বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য এই বনধের পর সিপিআইএম-তৃণমূল আঁতাতের প্রসঙ্গ নিয়ে সরব হয়েছেন। বললেন, “রাজ্যের মানুষ বুঝে গেছে সবটা। এই আঁতাত ধরে ফেলেছে। তৃণমূল এই বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে ভোট কাটার নোংরা খেলা খেলছে। যাই করুক জিতবে বিজেপিই।”