২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে আরও এক মাস্টারস্ট্রোক রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, ভূমি দফতরের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার মানুষ, যাদের জমি সংক্রান্ত প্রামাণ্য নথি নেই অথচ দীর্ঘদিন ধরে এই রাজ্যের বাসিন্দা, তাঁদের জমির পাট্টা দেওয়া হবে, যার মধ্যে ইতিমধ্যেই ২৫ হাজার মানুষকে পাট্টা দেওয়ার কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, রাজ্যে যে উদবাস্তুরা আছেন তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের নাগরিক। তাঁদের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য ৭০ বছর আগেকার প্রামাণ্য নথি দেখাতে হবেনা।
অন্যদিকে জাতি শংসাপত্র, অর্থাৎ এসসি, এসটি সার্টিফিকেট পাওয়ার দীর্ঘ নিয়মকেও ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা হয়েছে। জাতি শংসাপত্র পেতে আবেদনকারীর পিতার পরিবারের দিকের কারুর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকলে মাত্র ৪ সপ্তাহের মধ্যেই পাওয়া যাবে সার্টিফিকেট। এ ছাড়াও, নতুন আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিনিধিরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে সেখানকার বয়স্ক আদি বাসিন্দাদের সাথে আলোচনা করে শংসাপত্র প্রদান করবেন।
রাজ্যের ভূমি সংস্কার এবং জাতি শংসাপত্র বিষয়ক কাজের পদ্ধতি ঢেলে সাজানো দেখে কার্যত স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যাচ্ছে যে, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনকেই ইতিমধ্যে পাখির চোখ করছে রাজ্যের শাসক দল। এই সংস্কারের ফলে রাজ্যের বাসিন্দাদের কতটা সুবিধা হয়, এখন সেটাই দেখার।