কেন্দ্রীয় সরকারের 'এক দেশ, এক রেশন' প্রকল্পে এতদিন সায় না দিলেও অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে সিদ্ধান্তে আসল রাজ্য সরকার। পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই বিশেষত এই এক দেশ এক রেশন ব্যবস্থা চালু হবে বলে জানিয়েছ সর্বোচ্চ আদালত। তাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নবান্ন থেকে ঘোষণা করেন, এ রাজ্যেও চালু হতে চলেছে 'এক দেশ, এক রেশন' পরিকল্পনা। একইসাথে নবান্ন থেকেই ঘোষণা করেন, সমস্ত প্রকার ভুয়া রেশন কার্ড বাতিল করে শুধুমাত্র বৈধতার ভিত্তিতে রেশন কার্ডের তথ্যসমূহ একত্রিত করবে রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, এক দেশ, এক রেশন’ কর্মসূচি চালু করতে হবে বলে সর্বোচ্চ আদালত সাম্প্রতিক নির্দেশে জানিয়ে দিয়েছে। "আমাদের খাদ্যসাথী প্রকল্পে ১০ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ রেশন পাচ্ছেন। ওয়ান নেশন, ওয়ান রেশনে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। এর কাজ চলছে। তবে আমাদের কিছু আধার কার্ড বাকি আছে। সেটা করে ফেলতে হবে। আমরা তিন মাসের মধ্যে করে দেব"।
সাত দিনের মধ্যেই সমস্ত মৃত উপভোক্তার রেশন কার্ডের নম্বর, মৃত্যুর শংসাপত্র জোগাড় করা, যে-সব রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডে লিঙ্ক বাকি রয়েছে সেগুলি শেষ করার কাজ দ্রুত সারতে হবে।পরিচয়পত্র হিসেবে যাদের রেশন কার্ড রয়েছে, অথচ রেশন-সামগ্রী তোলা যায় না, তাদেরও তথ্যভান্ডার তৈরি হবে। এই সমগ্র প্রক্রিয়ার ওপর নজর রাখতে তৈরি ভিজিল্যান্স দলকে আরও মজবুত করা হচ্ছে। খাদ্যশস্য সংগ্রহে আরও অনেক বেশি করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে যুক্ত করে গোটা প্রক্রিয়ার অডিট করতে হবে। কোভিড সংক্রমণ রুখতে জেলা-কর্তাদের দরকারে স্থানীয় স্তরে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে বলা হয়েছে। তবে দুয়ারে রেশন চালু করতে আরো একটু সময় লাগবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।