ভোটের তৃতীয় দফায় আবারো আক্রান্ত তৃণমূল প্রার্থী। এবারে আরামবাগে আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মন্ডল খা। তিনি সরাসরি অভিযোগ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির একটা গুপ্ত ক্যাডার এর মত কাজ করছে। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে ইতিমধ্যেই নালিশ করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু, পুলিশ সুপার আবার কার্যত প্রার্থীকেই দায়ী করলেন ওই গন্ডগোলের জন্য। স্বামী সৌমিত্র খাঁ বিজেপি সাংসদ এবং তার স্ত্রী সুজাতা আবার এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন বিধানসভা নির্বাচনে। ভোটের মুখে দলবদল নিয়ে সৌমিত্র সুজাতার মধ্যে বিস্তর ঝগড়া এবং অবশেষে সম্পর্কচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে।
প্রকাশে সাংবাদিক সম্মেলনে স্ত্রীর জন্য চোখের জল ফেলতে দেখা গিয়েছিল সৌমিত্রকে। পরে আবার ডিভোর্সের নোটিশ পাঠিয়ে ছিলেন তিনি। অন্যদিকে স্বামীর কথা বলতে গিয়ে বেশ কয়েকবার কেঁদে ফেলেছিলেন স্ত্রী সুজাতা। কিন্তু এখনও তিনি তৃণমূলে রয়েছেন এবং এবারে আরামবাগ কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আরণ্ডি মহল্লা পাড়ায় বুথে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন এদিন সুজাতা। গ্রামবাসীরা বাস এবং চেলাকাঠ নিয়ে প্রার্থীকে তারা করলেন। সুজাতা মন্ডল অভিযোগ করলেন, ওই কেন্দ্র দখল করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি এবং সেই খবর পেয়ে তিনি ওইখানে গিয়েছিলেন। তার পৌঁছানো মাত্রই বিজেপির লোকেরা তার উদ্দেশ্যে দৌড়ে আসে।
এই ঘটনার পরে মেইল করে কমিশনকে অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের কাছ থেকে রিপোর্ট জানানো হয়নি, সকাল ১১ টা ১৫ নাগাদ এই বুথে গিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা। তারপর তিনি আবার বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে তর্কাতর্কি করেছিলেন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামবাসী এবং বিজেপি সমর্থকরা থাকে তারা করেছিলেন। তারপর বিজেপি এবং তৃণমূল এর মধ্যে বচন সাহা এবং ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। দুই দলের সমর্থকরা কাদা ছোড়াছুড়ি করেন। দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে কয়েকজনের বেশ আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও ভোট শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন।