কলকাতা শহরে কেকের আকস্মিক মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন সকলেই। কীভাবে মৃত্যু হল, কারোর গাফিলতি ছিল কিনা, প্রশ্ন উঠছে বারংবার। এমতবস্থায় কেকের মৃত্যুর পিছনে প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্ত চাইলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সেই প্রসঙ্গ তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। বৃহস্পতিবার অমিত শাহকে পাঠানো চিঠিতে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন সৌমিত্র।
সৌমিত্র খাঁয়ের চিঠিতে উঠে এসেছে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো:
১• কেন সেখানকার (নজরুল মঞ্চ) এসি কাজ করছিল না?
২• টেকনিশিয়ানরা কোথায় ছিলেন?
৩• ইভেন্ট ম্যানেজার অথবা ম্যানেজমেন্টের লোকজন কোথায় ছিলেন?
৪• নজরুল মঞ্চে ৩ হাজার দর্শকের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে ৭ হাজার মানুষ কীভাবে ঢুকল?
৫• কনসার্টের আগে স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হয়েছিল কিনা?
৬• কেকের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠালে সেখানে তৃণমূল নেতারা কেন ছিল? কেনই বা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি?
তাঁর অভিযোগ, প্রশাসনিক গাফিলতির জেরেই কেকের মৃত্যু হয়েছে। শুধু সৌমিত্র খাঁ নন, বিজেপির একাধিক নেতা কেকের মৃত্যুকে খুন বলছেন। দিলীপ ঘোষ আঙুল তুলেছেন, অমিত শাহের কোট "বাঙ্গাল মে যাওগে তো মরোগে", প্রয়োগ করে কেকের মৃত্যুকে বিশেষায়িত করছেন। যদিও ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন মানুষের মৃত্যু কখন হবে তা কেউ জানে না। প্রসঙ্গত, স্যার গুরুদাস কলেজ ফেস্টে ভিড়ে ঠাসা নজরুল মঞ্চে মঙ্গলবার রাতে শেষবার অনুষ্ঠান করেন কেকে। ওই অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন সংগীতশিল্পী। গরম লাগছে বলে জানান। প্রচণ্ড ঘামতে থাকেন। জোরাল আলো নিভিয়ে দিতে বলেছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে কলকাতার পাঁচতারা হোটেলে পৌঁছান কেকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বেসরকারি একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা 'ব্রড ডেথ' ঘোষনা করে। গতকাল দুপুরে রবীন্দ্রসদন থেকে গান স্যালুট দিয়ে বম্বে ফেরত পাঠানো হয়েছে শিল্পীর মরদেহ।