মা-বাবাকে খুনের অভিযোগে এতদিন মামলা চলছিল। অবশেষে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেন ছেলে। ঘটনায় আদালত ছেলের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, যুবক যে ঘটনা ঘটিয়েছেন তা বিরলতম। এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত।
ঠিক কী ঘটেছিল? ঘটনাটি বছর নয় আগের ২০১৩ সালের ঠাকুরপুকুর থানার তালপুকুর রোডের। আদালত সূত্রে খবর, সেই সময় ছেলে শোভন সরকার সম্পত্তির লোভে নিজের বাবা-মাকে কাটারি দিয়ে খুন করে। খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য দু'জন লোকে ডেকে বাড়ির বাগানে একটি বড় গর্ত খুঁড়ে প্লাস্টিকের ভেতর বাবা-মায়ের দেহ ভরে মাটি চাপা দিয়ে দেয়। প্রতিবেশী লোকজনদের সন্দেহ হতেই খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। যদিও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
 
                
            বাধ্য হয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর পাঠায়। পুলিশ এসে বাইরের গেটের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। ঢুকেই চক্ষু চড়কগাছ। সারা ঘরে রক্তের মাখামাখি। তৎক্ষণাৎ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই মামলার এতদিন তদন্ত চলছিল। অবশেষে ২০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাতে স্পষ্ট হয়েছে সম্পত্তির লোভে নিজের ছেলেই বাবা-মাকে খুন করেছে। মূলত কুসংসর্গে চলে যাওয়ায় প্রচুর টাকার দরকার ছিল ছেলের। তাতে বাবা-মা বারবার বাধা দিচ্ছিলেন। আর তারপরেই সে নিজের বাবা-মাকে খুন করে।
এতদিন মামলা চলার পর আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে এমন নৃশংস ঘটনা বিরল। দোষীর চরম শাস্তি ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। সাজা শুনেই অপরাধী শোভন সরকার চিৎকার করে ওঠে। তাঁকে স্পেশাল সেলে রাখা হয়েছে। গোটা ঘটনায় ঠাকুরপুকুর জুড়ে গভীর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
 
  
 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
     
     
     
     
     
     
     
     
    