বর্ষা নামলেই গ্রামে-গঞ্জে বেড়ে যায় সাপের উপদ্রব। প্রতি বছর সাপের কামড়ে মারাও যান অসংখ্য মানুষ। তবে সাপের কামড় খেয়ে গ্রাম বাংলার এক গৃহবধূ যে কাণ্ড ঘটালেন তাতে থ নেটিজেনদের একাংশ।
অন্ধকারে সাপের কামড় খেয়েছেন আগেই বুঝতে পেরেছিলেন। আতঙ্কিত না হয়ে মোবাইলের টর্চ জ্বেলে সাপটিকে দেখে নেন। বাড়ি মেরে সাপটিকে জখম করেন। তারপর প্লাস্টিকে ভরে সটান বাড়িতে হাজির। বাড়ির লোককে জানাতেই সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে দৌড়। সঙ্গে প্লাস্টিকে মোড়া সেই বিষধর সাপ। হাসপাতালে ডাক্তার দেখেই তো অবাক। এমন কাণ্ডও যে ঘটতে পারে জানার বাইরে ছিল।
ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিং মহকুমার ঘুটিয়ারি শরীফের ঘটনা। শুক্রবার রাতে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে সাবিনা হালদার নামের একজন গৃহবধূ বাড়ি ফিরছিলেন। অন্ধকার, বর্ষায় পিছল রাস্তা। আচমকাই তাঁর পায়ে কিছু একটা কামড়ায়। যন্ত্রণা শুরু হয়। মোবাইলের টর্চ জ্বেলে দেখেন ফণা তুলে সামনে দাঁড়িয়ে বিষধর সর্প। সঙ্গে সঙ্গে সাপের লেজে বাড়ি। তারপর প্লাস্টিকে ভরে ঘরের উদ্দেশ্যে যাত্রা।
ঘরে পৌঁছে সকলকে জানাতেই হাসপাতালে নিয়ে যান সাবিনা দেবীকে। সঙ্গে ছিল সেই প্লাস্টিকে মোড়া বিষধর সর্প। তিনি এমন করলেন কেন? সাবিনা হালদারের কথায়, ভয় না পেয়ে বরং মনের ভেতর তাৎক্ষণিক বোধোদয় হয়। সঙ্গে সাপটি থাকলে চিকিৎসকদের চিকিৎসা করতে সুবিধে হবে। গ্রামের গৃহবধূর এহেন কীর্তিতে ডাক্তাররা তো অবাক। সাপে কামড়ালে অনেকেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তাতে হিতে বিপরীত ঘটনা ঘটে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। কিন্তু এই গৃহবধূ যে সাহসের পরিচয় দিয়েছেন, তাঁকে তো কুর্নিশ জানাতেই হয়।