সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি মিম ভাইরাল হয়েছে। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি রাজনৈতিক দলের মহিলা প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ ইঙ্গিত করা হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তথা নেতা নেটাগরিকদের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
সেই মিমে দেখানো হয়েছে বাঙালি বাড়ির মেয়েদের উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য। যাতে বলা হয়েছে "বাঙালি বাড়িতে যেসব মহিলাদের দেখা যায়" লিখে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় পায়েল সরকার, মিমি চক্রবর্তী নুসরত জাহানদের সঙ্গে দীপ্সিতা ধর ও মীনাক্ষি মুখার্জি ছবি দেওয়া হয়েছে। পায়েল - শ্রাবন্তীর ছবিতে লেখা রয়েছে 'সেক্সি ননদ - বৌদি', মিমি - নুসরতের ছবিতে রয়েছে 'স্টাইলিশ দিদি - বোন', আর এই ছবিগুলোর নিচে মীনাক্ষি দীপ্সিতার ছবি দিয়ে লেখা রয়েছে 'কাজের মাসি'। এরকম কুরুচিকর মিমের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন বাংলার সুশীল সমাজ। সমাজের একশ্রেণীর মানুষের মন্তব্য এইভাবে যুগের পর যুগ ধরে নারীদের পণ্য করে রাখা হচ্ছে। বিশেষত মহিলাদের 'শোপিস' করে রেখে দেওয়াটা কেবল সমাজ মানসিকতার অঙ্গ নয়, তা যে রাজনীতিচর্চার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, সে বিষয়েও গর্জে উঠেছেন একদল সচেতন মানুষ।
এ বিষয়ে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র তাঁর ফেসবুক পেজে তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, "ওই সকল সেক্সি ননদ, বৌদি, দিদি, বোনকে এক লক্ষ দিয়ে গুণ করে একটা মীনাক্ষি বা দীপ্সিতা তৈরি করুক দেখি, তবে মুরোদ বোঝা যাবে। এটাতে আবারও এদের কদর্য রুচির পরিচয় পাওয়া গেলো। 'খেলা হবে' আর 'রগড়ে দেব' যাদের ভাষা তাদের থেকে এছাড়া আর কি হবে?"
এই মিমের জবাব দিয়েছেন বালি বিধানসভার সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। তিনি বলেছেন, "বিজেমূল একটা মিম বানিয়েছে। আমার আর মীনাক্ষী দি-র ছবির পাশে 'কাজের মাসি' লিখেছে। এখন ওরা কী ভেবে লিখেছে, কেন লিখেছে তার জবাব দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। কথা হল, যে শ্রেণির লড়াই আমরা লড়ি তাঁদের সাথে, তাঁদের দাবি দাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে আমাদের কখনই অসুবিধা হয় না। আমাদের নির্বাচনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত মিথ্যার বেসাতি করে বলতে হয়না - 'আপনার বাড়ির বাসন মেজে দেব'। গৃহপরিচারিকাদের জন্য, লকডাউনে তাঁদের বেতনের জন্য, তাদের সুরক্ষার প্রশ্নে দাবি দাওয়ার লড়াই বামপন্থীরা করেছে ও করবে।
সব শেষে একটা কথা - 'ওদের জ্বলবে, আমাদের এমনিই চলবে'।"