রাজ্য সরকারের সাথে অধিকারী পরিবারের দূরত্ব আরো প্রকট। শুভেন্দু-সৌমেন্দুর বিজেপিতে যোগদান ও রাজ্য সরকারের সাথে ক্রমাগত সংঘাতের জেরে অধিকারী পরিবারের সাথে তৃণমূলের বর্তমান তিক্ততার সম্পর্কই বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। এবার তৃণমূলে রয়ে যাওয়া শুভেন্দুপিতা শিশির অধিকারীকে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়নপর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত করে অখিল গিরিকে দায়িত্বে বসালো রাজ্য সরকার।
'অনুগামী'দের নিয়ে একের পর এক অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে সামিল হওয়াকালীন সময়ে শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানান আলোচনা চলেছে এবং অবশেষে রাজ্য সরকারের প্রতি তীব্র ভর্ৎসনা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে মঞ্চে বিজেপির সৈনিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর ভাই সৌমেন্দুকে বেসুরো দেখে তাকে নিয়েও রাজনৈতিক মহলে চলে নানান জল্পনা এবং সবশেষে তিনিও ঠাঁই নেন গেরুয়া শিবিরেই। ভাই দিব্যেন্দু ও বাবা শিশির শাসকদলে থাকলেও আজকের এই সিদ্ধান্ত অনেকটাই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মানছেন অনেকে।
দায়িত্ব পেয়ে রামনগর বিধায়ক বলেন, "উনি বয়স্ক মানুষ। শ্রদ্ধেয় মানুষ। কিন্তু উনি অনেকদিন ধরেই স্বাস্থ্যের কারণে এবং বয়সের কারণে কোনও কাজ করতে পারছিলেন না। তাই ওঁকে সরিয়ে অন্যদের বসাতেই হত।" অখিলবাবু আরও বলেন,"আমি বলছি না যে, আমাকেই বসাতে হত। কিন্তু উনি অনেকদিন ধরেই কোনও কাজ করতে পারছিলেন না।" এ প্রসঙ্গে শিশিরবাবু জানিয়েছেন তার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ ব্যক্ত করেন ওঁনার দুই পুত্র তৃণমূল সম্পর্কে অনেক কটু মন্তব্য করেছেন তবে কুনালবাবু এও জানান এটি সম্পূর্ণ প্রশাসনিক ও সরকারি সিদ্ধান্ত। বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার জন্য কাজ করতে পারছিলেননা, তাই এই সিদ্ধান্ত।