বেলঘরিয়াতে (Belgharia) তৃণমূল কার্যালয়ে (TMC) হামলা ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর সৃষ্টি হয়েছে। এ ওর কোর্টে বল ঠেলে দায় সারতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে শাসক-বিরোধী দুই দল। কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) অভিযোগ করেছেন, বিজেপির মদতে এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি এলাকার সিন্ডিকেটরাজ নিয়েও সরব হয়েছেন। অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, মদন মিত্র ঘনিষ্ঠ লোকজন এই দৌরাত্ম্যের জন্য দায়ী।
উল্লেখ্য, শনিবার রাত ৯ টা নাগাদ দেশপ্রিয় নগরে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে হামলা করে একদল দুষ্কৃতী। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এমন দাবি করা হয়েছে যে ৮ - ১০ জন দুষ্কৃতী এসে আচমকাই হামলা চালায়। তৃণমূল কর্মীদের টেনে হিঁচড়ে বের করে আনা হয়। তাঁদের বন্দুকের বাট দিয়ে মারধর করা হয়। এমনকী তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে কয়েক রাউন্ড গুলিও চালানো হয়। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি মোটর বাইক।
এই ঘটনার খবর পেয়েই রাতেই এলাকার বিধায়ক মদন মিত্র উপস্থিত হন। বিধায়কের অভিযোগ, এই কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকেই বিজেপি এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেই অভিযোগ তাঁর। বিধায়কের আরও অভিযোগ, কামারহাটির পাশাপাশি বেলঘরিয়াতেও রাত আটটা বাজার সঙ্গে সঙ্গে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বাড়ছে। কামারহাটিকে কোনওমতেই ভাটপাড়া হতে দেবেন না বলেও তিনি জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে আছে। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন, এসব কাজ শাসকদলের মদতে হচ্ছে। মদন মিত্রের ঘনিষ্ঠরা পরিকল্পনা করে এসব করাচ্ছে।