মধ্যরাতে গোলাগুলিতে কেঁপে উঠলো দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণী এলাকা। প্রোমোটিং সিন্ডিকেটকে কেন্দ্র করে বচসা থেকেই পারস্পরিক বিবাদের সূত্রপাত আর তার চরম পরিণতি গতরাতের শ্যুটআউট। মধ্যরাতে বাঁশদ্রোণীর সোনালী পার্ক এলাকায় একটি বাড়ির কাছে এসে একজনের নাম ধরে জোরে চিৎকার করতে থাকে দুষ্কৃতীরা। বাড়ি লক্ষ্য করে গোলাগুলি চালাতে থাকে তারা। অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় নামে এক যুবক বাইরে বেরিয়ে এলে গ্রিলের ফাঁক দিয়ে পিস্তল গলিয়ে তাকে তাক করে আচমকাই গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ হন অভিজিৎবাবু। আর এই ভয়ানক ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
ঠিক কি হয়েছিল? জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ বাঁশদ্রোণীর সোনালী পার্কে এই শুটআউটের ঘটনাটি ঘটেছে। গোলাগুলির শব্দে স্থানীয়দের অনেকেই বাইরে আসেন। স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, আততায়ীদের নিশানায় ছিলেন প্রদীপ দেবনাথ, কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গুলি এসে লাগে তাঁর আত্মীয় অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের হাতে। বর্তমানে অভিজিৎবাবু এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
কিন্তু কারা কেন করে থাকতে পারে এই কাজ? স্থানীয় দুষ্কৃতী নান্টি ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর স্পষ্ট। প্রদীপবাবু দাবি করেন, নান্টি ঘোষ নামে স্থানীয় এক দুষ্কৃতীর বড় ছেলে শুভ ঘোষ দলবল নিয়ে গোলাগুলি চালিয়েছে। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ২৬ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এদেরই মধ্যে ১৫ জনকে আটক করে জেরা চলছে। প্রমাণস্বরূপ হামলার একটি সিসিটিভি ফুটেজও উদ্ধার করেছে পুলিশ।