তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করে রাজ্যে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরতেই প্রশাসনিক স্তরে একাধিক রদবদল ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বদল হয়েছে একাধিক পুলিশ কর্তারা। আবার নিজের আসনে ফিরেও এসেছেন বহু আধিকারিকরা। এতেই কোপ পড়েছে কোচবিহার (Coochbehar) পুলিশ সুপারের উপরেও। কারণ হিসেবে সদা হাস্যময় 'শীতলকুচির উত্তপ্ত পরিস্থিতি'।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ভোটের আগেই দিনহাটায় এক বিজেপি নেতার রহস্যমৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুকে কাণ্ড করে উত্তাল হয় দিনহাটা। বিজেপি সাংসদ তথা বিধায়ক নীশীথ প্রামাণিকের নেতৃত্ব দিনহাটার শহরাঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এর পরই নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়েছিল কোচবিহারের তৎকালীন পুলিশ সুপার (SP)। এরপর তাঁকে সরিয়ে জেলার পুলিশ সুপার করা হয় দেবাশিস ধরকে। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ ছিল, দেবাশিসবাবু বিজেপির হয়ে ভোটের সময় কাজ করছিলেন।
আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ভোটের সময় শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় জওয়ানদের গুলি চালানোর ঘটনার জেরেই সুপারকে সাসপেন্ড করা হল। আর তাঁর বদলে পুনর্বহাল করা হল কে কান্নানকে। এমনকি ওই সময় কী এমন জটিল পরিস্থিতি হয়েছিল, যার জেরে কেন্দ্রীয় জওয়ানরা ভোটারদের উপর গুলি চালিয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত করতে পারে রাজ্য।