মসনদে এবার কে বসবে? কার দিকেই বা পাল্লা ভারী? তাও বলা বেজায় কঠিন। অনেক ওপিনিয়ন পোলের মতে তৃণমূল কিংবা বাম এগিয়ে, তো কাউর মতে বিজেপি। তবে বাংলা দখলের লড়াই শুরু হতেই যোগীরাজ্যের ছায়া মমতারাজ্যে। প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা, মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে একই এলাকায় তিনটি গণধর্ষণ। অবাক হচ্ছেন? এটি উত্তরপ্রদেশ নয় খোদ বর্ধমানের ঘটনা। দিন ছয়েক আগেই আউশগ্রামে দুই আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল প্রতিবেশী পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে। আর তার সপ্তাহ না ঘুরতেই ফের পুনরাবৃত্তি! মাতৃসম শাশুড়িকে গণধর্ষণের অভিযোগ জামাই ও তাঁর দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে রাতের অন্ধকারে নির্জন নদীচরে নিয়ে গিয়ে শাশুড়িকে গণধর্ষণ করে জামাই। সঙ্গে ছিল তার দুই বন্ধুও। ঘটনা পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের। সূত্রের খবর, মেয়ের শরীর খারাপ। তাই নাতনিকে দেখতে আসার জন্য শাশুড়িকে অনুরোধ করে জামাই। এরপর জামাইয়ের বাইকে চেপেই নাতনিকে দেখতে যাচ্ছিলেন শাশুড়ি। আর তার বদলে এই নৃশংস পরিনতি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আউশগ্রাম থানায় জামাই-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। অভিযুক্তদের নাম সজল বাউড়ি (২৭, নির্যাতিতার জামাই), বাবু বাগদি (২৮) এবং গৌড় বাউড়ি (২৬)। তিনজনেরই বাড়ি আউশগ্রামের আদুরিয়া গ্রামে। মঙ্গলবার রাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করার পর এদিন বুধবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
নির্যাতিতার কথায়, ভাতকুণ্ডা গ্রামের পাশাপাশি পরিষা গ্রামে রক্ষাকালী পুজো উপলক্ষে মেলা চলছে, এই অনুষ্ঠানেই গত সোমবার এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন মহিলা। আত্মীয়ের সাথে সেই মেলাতেই জামাইয়ের সাথে দেখা হয়ে যায় নির্যাতিতার। এরপর জামাইয়ের মুখে নাতনির অসুস্থতার কথা শোনেন তিনি। দেরি না করে জামাইয়ের সাথে রওনা দেন তিনি। এদিকে জামাইয়ের পরিকল্পনা মতোন বাড়ির বদলে এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে তাঁকে। মহিলা নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।