করোনাকালে দীর্ঘ লকডাউন শেষে আনলক পর্বে একে একে স্বাভাবিক হয়েছে যানবাহন-অফিস-সিনেমাহল-রেস্তোরাঁ সবই। ছোটদের করোনা সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বন্ধ ছিল কেবল শিক্ষাকেন্দ্র। অনলাইন ক্লাসেই চালু ছিল পঠনপাঠন। দীর্ঘ দশ মাস কাটিয়ে আগামী মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি থেকেই খুলে যেতে চলেছে রাজ্যের সমস্ত স্কুল। এখন শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা নিয়মিত স্কুলে যান এবং মিড-ডে মিল বিতরন চলছে লকডাউনের শুরু থেকেই। তাই এবার পড়ুয়াদের পঠনপাঠনের কাজ শুরু করাই যায়। স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে। তাঁদের সম্মতিতেই সর্বশেষ সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
গত বছরের মার্চ থেকেই বন্ধ হয়ে যায় অফলাইন পঠনপাঠন। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা আড়াই মাস ক্লাস পেলেও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা একটিও ক্লাস করতে পারেনি। অথচ এবছরের জুনেই (১৫ই জুন - ৩রা জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের সূচী নির্ধারিত হয়েছে। প্রাকটিক্যাল ক্লাসগুলি অনলাইন মাধ্যমে হওয়া সম্ভব নয়, অথচ ১০ থেকে ৩১শে মার্চের মধ্যেই প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা সম্পন্ন করে ২০শে এপ্রিলের মধ্যে পাঠাতে হবে সংসদে। এই অবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের অনুশীলনের জন্য স্কুল খোলা অত্যাবশ্যকীয়। স্কুলে স্কুলে স্যানিটাইজেশনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে ইতিমধ্যেই।