এবার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি নিয়ে এটি নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের এই নতুন নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবার বদলির ক্ষেত্রে তাদের বয়স এবং বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব অন্যতম বিবেচ্য হিসেবে ধরা হবে। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যদি বাড়ি থেকে স্কুল এর দূরত্ব ২০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার হয় তাহলে নির্দিষ্ট শিক্ষক বা শিক্ষিকা বদলির ক্ষেত্রে ৩ নম্বর পাবেন। অন্যদিকে যদি ৫০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব হয়, তাহলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা পাবেন ৫ নম্বর।
অন্যদিকে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা বদলির আবেদন করার সময় ১ নম্বর পাবেন। ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সি শিক্ষক-শিক্ষিকারা পাবেন ২ নম্বর এবং তার বেশি বয়স হলে পাবেন ৩ নম্বর। এছাড়া শিক্ষক-শিক্ষিকা যদি সিঙ্গেল-টিচার তাহলে বদলির আবেদন করলে প্রধান শিক্ষক বা পরিচালন সমিতি আটকাতে পারবেন না। তবে, স্কুল গুলির বক্তব্য, নির্দিষ্ট বিষয়ে যদি মাত্র একজন শিক্ষক থাকে, তাহলে যদি তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে ওই বিষয়টা পড়াবে কে? স্কুল শিক্ষা দফতর জানাচ্ছে, এই বিষয়টা নির্দিষ্ট জেলার স্কুল পরিদর্শক বা ডিঅাই খতিয়ে দেখবে। এছাড়া যদি শিক্ষক-শিক্ষিকার নিজের বা তার সন্তানের বা তার স্বামী অথবা স্ত্রীর হৃদরোগ, কিডনি বিকল, থ্যালাসেমিয়া, স্ত্রী রোগ অথবা অঙ্গ বিকলের মতো গুরুতর সমস্যা হয় তাহলে বদলিতে বিশেষ সুবিধা পাবেন ওই শিক্ষক বা শিক্ষিকা।
এছাড়া পাঁচ বছর কর্মরত যে কোন শিক্ষক বা শিক্ষিকা বদলির আবেদন পূরণ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। অভিযোগ, সমস্ত শর্ত পূরণ করার পরে অনেক সময় বদলির আবেদন নাকচ করা হচ্ছে। এদিনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে আবেদনের ৭ দিনের মধ্যেই স্কুল শিক্ষা দপ্তর কমিশনের কাছে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এছাড়াও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ৬০ শতাংশ কিংবা তার বেশি থাকলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা সুবিধা পেতে পারেন বলে জানানো হয়েছে আজকের নতুন নির্দেশিকায়। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী এবং শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সম্পাদক কিংকর অধিকারী বললেন, "প্রত্যেক শিক্ষক বা শিক্ষিকা নিজের জেলায় সুযোগ পাবেন বলে ঘোষণা করেছিল সরকার। সেই ঘোষণার প্রতিফলন সংশোধিত নির্দেশিকায় আমরা পেলাম না। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।"