আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আবারও দিকে দিকে শাসকদলের প্রতি বিরোধীদের ক্ষোভ প্রকাশ্যে এল। কখনো প্রত্যক্ষ সাংবাদিক বৈঠকে আবার কখনো পরোক্ষভাবে পোস্টারে বার্তা দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করেন শমীক ভট্টাচার্যরা যেখানে মূলত বেকারত্বকেই হাতিয়ার করেছেন তারা। এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ তুলে দেওয়া, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প থেকে রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত রাখা; এমনকি যুবশ্রী ভাতাতেও ৩৫ আবেদনকারী বেকার রয়েছেন বলে রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। রাজ্যে নানান মেলা হলেও শিল্প মেলা না হওয়ায় কার্যত কোনো কর্মসংস্থানও নেই বলেও এদিন কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতৃবৃন্দ।
অন্যদিকে শুভেন্দু-রাজীবের পর এবার সিঙ্গুরে পোস্টার পড়ল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যর নাম ও ছবিসহ যাতে 'আমরা স্যারের অনুগামী' বলেও উল্লেখ করা আছে। অনুগামীরা অবশ্য জানায় তাদের স্যারের সাথে হওয়া অন্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী অবধি পৌঁছে দিতে চান তারা। রবীন্দ্রনাথবাবু জানান এর সাথে দলবদলের কোনো প্রশ্ন নেই এবং তাঁর মতো অপরাজেয় একজন বিধায়কের অনুগামী থাকাটাই স্বাভাবিক।
অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে পোস্টার বিতর্ক উঠলো রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে নিয়ে। অধীর চৌধুরী সহ তাঁর ছবি একসাথে রেখে 'আমরা দুই দাদার অনুগামী' লেখা পোস্টারে শুরু হয়েছে জল্পনা। এ বিষয়ে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী স্বয়ং জানান তাকে চমকানোর জন্য এসব করা হচ্ছে ও যারা করছে তারা নিজেদের আখের গোছাতে চায় বলেই তাঁর দাবি।