করোনার বাড়বাড়ন্ত শুরু হতেই কালোবাজারির খবর বারবার উঠে এসেছিল। পুলিশি তৎপরতায় এই অভিযোগ কিছুটা মিটলেও, পুরোপুরি ভাবে এ অভিযোগ বিলুপ্ত হয়নি। কাজেই এবার সরব রাজ্য সরকার। রেমডিসিভির বা টোসিলিজুমাব এই দুটি ওষুধ আর অন্য কাউকে বিক্রি করা যাবে না। কেবলমাত্র কোভিড হাসপাতালই এই ধরণের ওষুধ পাবে। এমনই নয়া নির্দেশিকা দিয়েছে রাজ্য।
অর্থাৎ রেমডিসিভির বা টোসিলিজুমাব এই দুটি ওষুধ সাধারণ মানুষ দোকান থেকে কিনতে পারবেনা। এই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা সরাসরি সরকারি ও বেসরকারি কোভিড হাসপাতালগুলিতেই শুধুমাত্র এই ধরণের ওষুধ সরবরাহ করবে। এক্ষেত্রেও আছে কড়া ব্যবস্থা। রাজ্যের নির্দেশ, শুধুমাত্র অত্যন্ত সংকটজনক করোনা রোগীদের জন্য এই ওযুধ ব্যবহার করা হবে। কাজেই ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে আগে জানতে হবে, তারা যে কোভিড হাসপাতালে এই ওষুধ বিক্রি করছে সেখানে ঠিক কতগুলি সিসিইউ বেডে রোগী রয়েছেন। তারপরই কোভিড হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ সরবরাহ হবে।
মূলত সংকটজনক পরিস্থিতিতে যাতে করোনা রোগীরা এই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন সেকারণেই এই বিশেষ নির্দেশ নেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, কোনও ব্যক্তি ও চিকিৎসকে এই ধরণের ওষুধ আর বিক্রি করা যাবে না। কাজেই গোটা বিষয়টি মনিটরিংয়ের জন্য স্বাস্থ্য দফতরের একজন আধিকারিককেও রাখা হচ্ছে। তিনি গোটা বিষয়টি দেখবেন এবং স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ওষুধ বিক্রির কাজে বহাল থাকবেন। তবে কেউ যদি বেশি পরিমাণ এই ধরণের ওষুধ মজুত করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।