পশ্চিমবঙ্গে আর্সেনিকের সমস্যা বহুদিনের। আর্সেনিকজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের রিপোর্ট জানিয়েছে, রাজ্যের ৪৪ লক্ষ মানুষ আর্সেনিক-আক্রান্ত। জাতীয় পরিবেশ আদালতের মতে, দেশে এ ব্যাপারে সবচেয়ে উদ্বেগজনক অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্য সরকারকে আর্সেনিকমুক্ত জল সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
![healthy food diet](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2021/05/23/photo-uploads/brooke-lark-jUPOXXRNdcA-unsplash.jpg)
![Rains বৃষ্টি](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2022/08/20/flood-965092_1280.jpg)
আর্সেনিক সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ। ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটির মতো বিজ্ঞান সংগঠনও এ নিয়ে কাজ করে। তাদের মতে, বাস্তবে রাজ্যে আর্সেনিকের প্রকোপ আরও ভয়ঙ্কর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর, বারুইপুর সহ কলকাতা সংলগ্ন বহু এলাকা আর্সেনিক বিষে দূষিত।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, শুধু পানীয় জল নয় আর্সেনিকযুক্ত জলে ফলানো ফসল থেকেও বিষ ঢুকছে শরীরে। আগে বেশ কয়েকটি টাস্কফোর্স তৈরি হলেও দূষণ রোধে রাজ্যের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নয় আদালত। তারা অবিলম্বে এই সমস্যা দূর করতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।