সোমবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ রামপুরহাটে (Rampurhat Clash, Rampurhat Incident) একটি চায়ের দোকানে বসে থাকার সময় বোমার ঘায়ে গুরুতর জখম হন স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। কলকাতার ভবানী ভবন থেকে রাজ্য পুলিশের ডিজি জানিয়েছেন, মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এদিন রামপুরহাট সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, মোট সাত জনের পোড়া দেহ পৌঁছেছে। এদিকে দমকলের হিসেব অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা দশ।
এই ঘটনাকে ঘিরে কার্যত উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। তবে এ ঘটনায় আজ ক'জনের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
এই ঘটনায় এবার হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছে বিজেপি। বিজেপির আবেদনে সাড়া দিয়ে মামলা দায়েরের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court)। এদিন রামপুরহাটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিধানসভায় সরব হয়ে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা৷ এই ঘটনায় কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করছি। আমরা বিধানসভা থেকে রাজভবন মিছিল করব। দিল্লিতে বিজেপির প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। এনআইএ বা সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত হোক।"
ইতিমধ্যেই রামপুরহাট-কাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে রাজভবনে যাচ্ছে বিজেপি পরিষদীয় দল। রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলবেন বিজেপি বিধায়কেরা। সেখানেই রাজ্যপালের দফতরে জমা দেওয়া হবে একটি প্রতিবাদপত্র। রাজভবনের পাশাপাশি দিল্লিতেও রামপুরহাট-কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব হবেন বিজেপি সাংসদরা। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন অর্জুন সিং।