রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই রাজ্যবাসী, এমনকি দেশবাসী পর্যন্ত দেখেছে মোদী-মমতা সংঘাত। কখনও এরাজ্যে জনসভায় এসে প্রধানমন্ত্রী তুলেছেন ‘দিদি…ও দিদি’ রব। আবার কখনও বা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীকে ‘হরিদাস পাল’ বলে সম্বোধন করেছেন। ভোটপর্ব মিটে গেলেও কেন্দ্র-রাজ্য কাদা ছোড়াছুঁড়ি কমেনি। কিন্তু এর মাঝেই রাখীবন্ধন উপলক্ষে দিদি-মোদী পাশাপাশি! চমকে যাওয়ার কিছুই নেই। কেন্দ্র এবং রাজ্যের দুই প্রধান রাখীবন্ধন উপলক্ষে সশরীরে পাশাপাশি আসেননি। তাঁদের ছবি সোজা গিয়ে বসেছে রাখীর উপর। আর রাখীতে লাগানো ছবির মাধ্যমেই দুজনে ‘কাছাকাছি’ এসেছেন।
রবিবার, ২২শে অগাস্ট, রাখী পূর্ণিমা। সেই উপলক্ষে রাখীর পসরা নিয়ে সেজে উঠেছে উত্তর দিনাজপুরের একাধিক দোকান। আর তার মাঝেই ‘হটকেক’ এই মোদী-মমতা রাখী। বাস্তবের বিরোধীতা, শত্রুতাকে দূরে সরিয়ে রেখে পরোক্ষভাবে হলেও, একদিনের জন্য কাছে এসেছেন দুই রাজনৈতিক মহারথী। আর এই ঘটনায় স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত সাধারন ক্রেতা থেকে বিক্রেতা। একের পর এক দোকান উপচে পড়েছে মোদী-দিদির ছবি লাগানো রাখী। বিক্রিও হচ্ছে দেদার।
১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গের বিরোধীতায় এবং হিন্দু-মুসলমান সংহতি বজায় রাখার জন্য কবিগুরু সূচনা করেছিলেন রাখীবন্ধন। সেই থেকে প্রতি বছরই পালন হয়ে আসছে রাখীবন্ধন উৎসব। তবে গতবছর থেকে করোনা আবহে অনেকটাই ভাঁটা পড়েছে উৎসবে। দোকানেও চোখে পড়ার মতো খরিদ্দার নেই। অধিকাংশ বিক্রেতাই মাছি তাড়াচ্ছেন দোকানে। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ছবি লাগানো রাখী, তাঁদের ব্যবসায় কিছুটা হলেও ধনাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করেছিলেন বিক্রেতা মহল। আর তাঁদের ধারণাই সঠিক প্রমানিত হল। মন্দার এই বাজারে মোদি-মমতার ‘ছবি’ ধরে ব্যবসার ‘বৈতরণী’ পার করতে পেরে জারাপনাই খুশি তাঁরা।