একুশে নির্বাচনের আগে শাসকদলকে বারংবার দলবদল ইস্যুতে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। আর শুরুর দিকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি তৃণমূল বেসুরোদের দলে ছিলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বারংবার তিনি দলের বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বঙ্গ রাজনীতিতে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বরাবর জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। আজ তাই তৃণমূল বেসুরো মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কথামতো ঠিক দুপুর ৩ টের সময় ফেসবুক লাইভে এসে নিজের বক্তব্য রাখলেন। তার বক্তব্যের প্রথমেই তিনি সকল রাজ্যবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তারপর বনমন্ত্রী ঠিক কী কারণে দলের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন তা তিনি নিজে স্পষ্ট করেছেন।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বলেছেন, "যখনই আমি ভালো কাজ করতে গিয়েও পারিনি তখন আমার দুঃখ হয়েছে। সেই থেকে আমার মনে ক্ষোভ জমেছে। সেই ক্ষোভ আমি কার সাথে ভাগ করব? তাই আজ আমি রাজ্যবাসীর সাথে আমার খুব ভাব করে নিতে এলাম। আমি আমার কাজ করতে গিয়ে যদি বাধা পাই আর সেটা যদি আমি বলি, তাহলে সেটা কি অন্যায়? অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা কোনোদিনও ভুল নয়। আমায় দলের শীর্ষ নেতারা ডাকলে অনেকে ব্যাখ্যা ভাবে কথা বলছে। তখন তাদের কিছু বলে না। গণতন্ত্রে তো মানুষ শেষ কথা। আমার যা বলার ইচ্ছে আমি তো সেটা বলতেই পারি।"
এছাড়াও তিনি বলেছেন, "দলের কর্মীরা শুধুমাত্র একটু সম্মান চায়। আর কিছু চায় না। কর্মীরা তো দলের আসল সম্পদ। আমাদের দলনেত্রী একই কথা বলেন। এই অবস্থায় যদি কোনো কর্মী অসম্মানিত হন সেটা কি বলা অন্যায়? মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে যেটা আমার সুবিধার মনে হবে আমি সেটাই করব। আমি আমার ব্যক্তি স্বার্থে কোন কথা বলি না। যা বলি দলের স্বার্থে বলি। আমি পিছনে ফিরে তাকাবো না। সব সময় ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করে যাব।" এছাড়াও তিনি এদিন তার রাজনৈতিক অবস্থান সম্বন্ধে স্পষ্ট করেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, "আমি ধৈর্য ধরে আছি। আপনাদের জন্য ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছি।" এই বক্তব্যের পর কার্যত এটা স্পষ্ট তিনি এখনই দলবদল নিয়ে কোন চিন্তাভাবনা করছেন না।