বঙ্গ রাজনীতিতে এখন হট টপিক দলবদল ইস্যু। শাসকদলের অনেক নেতাকর্মীরাই দলের বিরুদ্ধে গলায় সুর তুলছেন নির্বাচনের প্রাক্কালে। ডোমজুড়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছিলেন। এটা বোঝাই যাচ্ছিল যে শাসক দলের সাথে তার সম্পর্কে ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়ছে। এরইমধ্যে গত শুক্রবার তিনি মন্ত্রিত্ব পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং এক সপ্তাহ ঘুরতেই আজ শুক্রবার তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। অবশ্য বিধায়ক পদ ছাড়ার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তিনি তৃণমূলের সদস্যপদও ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি আজকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে ইস্তফা দিয়েছেন এবং সেই সাথে এক কপি পদত্যাগপত্র তিনি তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে দিয়েছেন। তিনি আজ বিকেল নাগাদ তৃণমূল ভবনে গিয়ে পদত্যাগপত্র দিয়ে দল থেকে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন তিনি।
তবে আজও প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের সদস্যপদ ছাড়া নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে কোন মন্তব্য করেননি। বরং তিনি জল্পনা উস্কে বলেছেন যে তার রাজনৈতিক অবস্থান তিনি আগামীকাল শনিবার জানাবেন। অন্যদিকে, আজ রাতেই বাংলায় পা রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি দুদিন বাংলায় জনসভা করবেন। এর আগেও ঠিক এরকম দুদিনের জনসভাতে তৃণমূল বিদ্রোহী নেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তবে এখন তাহলে প্রশ্ন উঠছে যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কি ঠিক শুভেন্দু অধিকারীর মত অমিত শাহের জনসভায় গেরুয়া শিবিরে যোগদান করবেন?