শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর অত্যাচার, মারধোর। বাপের বাড়িতেও ঠাঁই হয়নি তাঁর। অগত্যা, দুই শিশুপুত্রকে নিয়ে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে প্রায় এক বছর ধরে আশ্রিতা এক আদিবাসী মহিলা। তাঁর দুই শিশুর একজনের বয়স তিন, অপরজনের দুই। যদিও এই অবস্থাতেও পুনরায় ঘরে ফিরতে চান না ঐ মহিলা।
সুত্রের খবর, মহিলার নাম ছিত সোরেন। বাপেরবাড়ি রায়গঞ্জের শেরপুরে। শ্বশুরবাড়ি কালিয়াগঞ্জে। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আজ প্রায় এক বছর দুই শিশুকে নিয়ে রাস্তায় ছিত সোরেন। বর্তমানে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের ফিভার ক্লিনিকের পাশের রাস্তায় ঠাঁই হয়েছে ঐ মহিলার। খোলা আকাশের দুই সন্তানদের নিয়েই শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা কাটছে মহিলার। কিন্তু বৃষ্টির সময় কি করেন? তিনি জানান, বৃষ্টি পড়লে ছেলেদের নিয়ে হাসপাতালের করিডোরে, শেডের নিচে আশ্রয় নেন তিনি। এরম দুরবস্থার মাঝেও, শুধুমাত্র অত্যাচারের ভয়ে শ্বশুরবাড়িতেও আর ফিরতে চান না সোরেন।
তবে হাসপাতালের কর্মীরা, তাঁকে এবং তাঁর সন্তানদের নিয়মিত খাবার দেন বলেই খবর। শুধু তাই নয়, মাঝে মধ্যে তাঁদের জামা কাপড়ও দিয়ে যান কিছু সহৃদয় ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী সংগঠনের সভাপতি প্রশান্ত মল্লিক, জেলা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন ঐ অসহায় মহিলার পাশে দাঁড়ানোর। স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও, রোগীর আত্মীয়রাও ঐ মহিলা এবং তাঁর সন্তানদের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। যদিও এই বিষয়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের সহকারী সুপার অভিক মাইতি-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি পুলিস-প্রশাসনকে জানানোর আশ্বাস দেন।