বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের বড়সড় সাফল্যের পর এবার নজরে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট। সূত্রের খবর, সেদিকে তাকিয়ে ঘুঁটি সাজানোর লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্কিং কমিটি এবং সাংগঠনিক বৈঠকে আজ তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, দলের মধ্যে আজ যেমন পরিবর্তন আসবে, তেমনই ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ সিদ্ধান্তে একাধিক বিধায়ক এবং মন্ত্রী সাংগঠনিক পদ খোয়াতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
সকাল থেকেই আভাস মিলছে বড়ো দায়িত্ব পেতে পারেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। আর তাতেই শিলমোহর। যুব তৃণমূল সভাপতির পদ ছাড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই তিনি পদত্যাগ পত্র জমা করেন। তাঁর বদলে এই পদে এলেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। অর্থাৎ তৃণমূলের নতুন যুব সভাপতি হলেন সায়নী। সূত্রের খবর, ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মেনেই এই ইস্তফা।
প্রসঙ্গত, আসানসোল দক্ষিণের প্রার্থী হিসেবে বিধানসভা নির্বাচনে জিততে না পারলেও রাজনীতিতে পা রেখেই নজর কেড়েছিলেন তিনি। আর তাতেই এই সাফল্য। অন্যদিকে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং রাজ্যের কালচারাল প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হল রাজ চক্রবর্তীকে (Raj Chakraborty)। সর্বভারতীয় মহিলা তৃণমূলের সভাপতি হলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। প্রাক্তন বিধায়ক পূর্ণেন্দু বসুর পেলেন দলের খেতমজুর শাখার সভাপতির দায়িত্ব। তৃণমূলের শ্রমিক সগঠনের সর্বভারতীয় সভানেত্রী হলেন দোলা সেন। আর শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি হলেন প্রাক্তন বাম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর এতেই রাজনৈতিক তরজা। এবার নির্বাচনে দোলা সেন, পূর্ণেন্দু বসুদের টিকিট দেওয়া হয়নি। বদলে নির্বাচন ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় দলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা। তবে এদিন দলের সিদ্ধান্ত দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, অনেক আগে থেকেই ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছিল দল। তাই তাঁদের বিধায়ক না করে দলের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হল।