আজ দুপুর থেকেই বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে। মাত্র কয়েকঘণ্টা আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) তীব্র আক্রমণ করেছেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)। বলেন, “বারবার দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল না বুঝিয়ে আয়নায় মুখ দেখুন।” সঙ্গেই দিলীপ ঘোষকে খোঁচা দিয়ে তিনি বললেন, "উনি অর্ধেক বোঝেন, অর্ধেক বোঝেন না।"
তবে এবার শুভেন্দুকে কটাক্ষ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajiv Banarjee)। এদিন ফেসবুকে তিনি লিখলেন, "বিরোধী নেতাকে বলব। যাঁর নেতৃত্বে ও যাকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়ে বাংলার মানুষ ২১৩টি আসনে তাঁর প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন সেই মুখ্যমন্ত্রীকে অযথা আক্রমণ না করে সাধারণ মানুষের দুর্দশা মুক্তির জন্য পেট্রল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্যহ্রাস করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য করা উচিত।”
রাজীববাবুর এমন পোস্টকে ঘিরেই ফের তুঙ্গে দলবদলের জল্পনা। উল্লেখ্য, ভোট পর্ব মেটার পর থেকে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়ের বিশ্বস্ত 'সৈনিক'। পরবর্তীতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে তাঁর বাড়িতেও গিয়েছিলেন রাজীববাবু। এমনকি বুধবার শোকার্ত মুকুল রায়ের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। ফলে দল বদলের জল্পনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা কোনো মতেই।
অন্যদিকে দলের নির্দেশে ইস্তফা দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরী। এই সিদ্ধান্তে যে খুশি নন বাবুল সুপ্রিয়, তা বাবুলের ফেসবুক পোস্টেই স্পষ্ট। যেখানে নিজের হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেছেন, "ধোঁয়া উঠলে কোথাও তো আগুন লেগেছে। বন্ধু, অনুরাগী ও সংবাদমাধ্যমের কাছে জানাতে চাই, আমাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। আমি সেটা করেছি।” আর এই নিয়েই কথা বলতে ছাড়লেন না মুখ্যমন্ত্রী। আজ সাংবাদিক সম্মেলনের শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এখন ওঁদের কাছে বাবুল খারাপ। রাজবংশী মেয়েটি যে ওঁদের মন্ত্রী ছিল, সেও খারাপ হয়ে গেল। আসলে বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয় মানুষের। তবে এটা ওঁদের নিজস্ব ব্যাপার কাকে মন্ত্রী করবেন আর কাকে করবেন না। বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি আগেও ছিল। মানুষের শুভ বুদ্ধি নাশ হলে এরকম শক্তিকে খুঁজে বেড়ায়। তবে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কিছুই বলব না।”