কোচবিহারের পর নন্দীগ্রাম, রাজ্যপালের 'রাজনৈতিক' সফর ঘিরে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কোচবিহারে সাংসদ নিশীথ প্রামানিক কিংবা নন্দীগ্রামে নবনির্বাচিত বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে সঙ্গে নিয়ে নন্দীগ্রাম পরিক্রমায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।
শনিবার নন্দীগ্রামের মাটিতে পা দিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি অভিযোগ করেছেন রাজ্যে ভোট মিটলেও রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত। রাজ্যবাসী আগ্নেয়গিরির উপরে বসে আছেন বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
ভোট-পরবর্তী নন্দীগ্রামের অবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে শনিবার হেলিকপ্টারে চেপে রওনা হন রাজ্যপাল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজে গিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। তারপর শুভেন্দুর সঙ্গে গাড়িতে চেপে রওনা দেন তিনি। নন্দীগ্রামে সংবাদমাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "একদিকে কোভিড,অপরদিকে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা চলছে। এই দু'য়ের ফলে বাংলা অত্যন্ত সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ভোটের পর হিংসার কথা আগে শুনিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নিন।" তিনি আরও দাবি করেছেন, "ভোটের পর বাংলার মানুষ আগ্নেয়গিরির উপর বসে আছেন। নন্দীগ্রামের মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রাণহানি ধর্ষণ লুটপাট চলছে।"
রাজ্যপাল একজন সাংবিধানিক পদে বসে বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দল। কোচবিহারে নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে এলাকা পরিদর্শন এবং একইভাবে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর একই সঙ্গে এলাকা পরিদর্শনের পর শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় আবার রাজ্যপালের সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।