পরীক্ষা হয়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারি, আর আজ তার ফল ঘোষণা। টানটান উত্তেজনার মধ্যে অপেক্ষায় শাসক থেকে বিরোধী। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ নির্বাচনের (Election) নামে প্রহসন হয়েছে। ছাপ্পা, ভোট লুঠ, ইভিএম ভাঙচুর-সহ একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। দাবি উঠেছে গণনা (Counting) বয়কটের। তার মধ্যেই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে রাজ্যের ১০৭ টি পুরনিগমের ভোট গণনা আজ।
গণনা শুরু সকাল আটটা থেকে। সর্বনিম্ন ২ থেকে সর্বোচ্চ ১৮ রাউন্ড পর্যন্ত গণনা হতে পারে। সূত্রে খবর, ১০৭ টি পুরসভার জন্য ১০৭ টি গণনাকেন্দ্র ঠিক করা হয়েছে। গণনাকেন্দ্রে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। প্রথম স্তরে থাকছে লাঠিধারী পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স। দ্বিতীয় স্তরে থাকছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়। এই স্তরে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের প্রবেশাধিকার আছে। তবে সঙ্গে কলম ও খাতা ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে প্রবেশাধিকার নেই। তৃতীয় স্তরে থাকছে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। এই স্তরেই হবে ভোট গণনার কাজ। রিটার্নিং অফিসার কেবল মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন। ভোট গণনাকেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে থাকছে ১৪৪ ধারা।
পুরভোট (Municipality Election) নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি বারবার অভিযোগ করে এসেছে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ, অভিযোগ বিরোধী দলগুলির। এই পরিস্থিতিতে কাঁথি পুরসভার ভোট গণনা স্থগিতের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। যদিও সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। সেদিকেও নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের। সেই সঙ্গে ১০৮ টি পুরসভার মধ্যে দিনহাটা পুরসভায় কোন নির্বাচনই হয়নি। নগর থাকবে বনগাঁ পুরসভায়।
পুরভোটের ফলাফল নিয়েও একগুচ্ছ নির্দেশিকা ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। পুরভোটের ফলাফল ঘোষণার পর বিজয় মিছিল করার অনুমতি দিয়েছে কমিশন, তবে কোন প্রকার গোলমাল বরদাস্ত করা হবে না বলে কড়া নির্দেশিকা জারি হয়েছে। পুরভোটে নজিরবিহীন গোলমালের প্রতিবাদে সোমবার ১২ ঘন্টার বনধ ডেকেছিল বিজেপি, অন্যান্য দলগুলি রাস্তায় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আজকের পুরভোটের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে সব মহল।