কিছুদিন আগেই রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস এবং ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার সম্পর্ক নিয়ে। তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট নেতাদের সঙ্গে মনকষাকষি হয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোরের দ্বন্দ অজানা নয়। এমনকি গত রবিবার অব্দি আইপ্যাকের বিরুদ্ধে গলায় সুর তুলেছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এহেন অবস্থায় শত জল্পনা কল্পনাকে দূরে সরিয়ে সকলকে অবাক করে জেলাস্তরে ফের তৃণমূলের হয়ে কাজ শুরু করে দিল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক।
কিছুদিন আগেই আইপ্যাকের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডল থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টুইটারে আনফলো করা হয়। কিন্তু দুপুরের মধ্যে সব সংবাদমাধ্যমের সেই খবর চাউর হতেই বিকেলবেলা ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফলো করে নেয় আইপ্যাক। এরপর প্রার্থী তালিকা নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয় তৃণমূল এবং আইপ্যাক-এর দুটি ভিন্ন লিস্টের কারণে। এমনকি ভোটযুদ্ধের প্রাকমুহুর্তে দলের অনেক কর্মকর্তা দল ছেড়ে নির্দল দল টিকিটেই ভোটে দাঁড়ায়। এত কিছু হয়ে যাবার পরেও কোনো পক্ষই বিচ্ছেদ বা মনকষাকষির কথা কখনও প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি।
ওই সময়টায় লক্ষণীয়ভাবে আইপ্যাকের আনাগোনা কমে গিয়েছিল তৃণমূলের অন্দরে। কিন্তু সম্প্রতি আবার তাঁরা স্বমহিমায় ফিরে এসেছেন এবং তৃণমূলের হয়ে জেলাস্তরে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। প্রত্যাবর্তনের পরেই নেতা-কর্মীদের কাছে একটি লিখিত বার্তা পাঠিয়েছে আইপ্যাক। ২০২০ সালের মার্চ মাসে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ ক্যাম্পেনের সময় প্রত্যেক বিধানসভা এলাকায় আইপ্যাকের উদ্যোগে নেতা-সাংবাদিক-আইপ্যাকের প্রতিনিধিদের নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সাময়িক মনকষাকষিতে এই গ্রুপ লগুলি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। কিন্তু জানা যাচ্ছে, ওই গ্রুপগুলিকে ফের অ্যাকটিভ করা হচ্ছে আইপ্যাকের তরফে।
আইপ্যাকের নয়া নির্দেশিকায় তৃণমূল সরকারের জয় জয়কারের জন্য তিনটি কৌশলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলি হল জেলাজুড়ে সর্বভারতীয় তৃণমূল সম্পর্কিত সমস্ত খবর ছড়িয়ে দেওয়া, সর্বভারতীয় তৃণমূল এবং জেলার সাংবাদিকদের মধ্যে এক অবিচ্ছিন্ন সংযোগ স্থাপন করা এবং জেলাজুড়ে সর্বভারতীয় তৃণমূল এর প্রধান নেতাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভাগ করে নেওয়া। এছাড়াও প্রত্যেক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সাংবাদিকদের যুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে আইপ্যাকের তরফে।