জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে প্রতিবন্ধী নাবালিকাকে ধর্ষনের অভিযোগে ধৃতকে আজ আদালতে নিয়ে গেল ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। আদালতে যাওয়ার পথে সংবাদমাধ্যমের সামনে গোটা ঘটনাটা অস্বীকার করে তিনি বলে, "আমি কিছুই করিনি। বাচ্চাটা নিজেই আমার বাড়িতে এসেছিল। এখন আমার উপর দোষ চাপানো হচ্ছে। এই প্রথম নয়, এর আগেও বাচ্চাটা আমার বাড়ি এসেছিল।"
গত সোমবার জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি এলাকায় বিষেষভাবে সক্ষম এক নাবালিকাকে ধর্ষনের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। এমনকি তার হাত পা মুখ বেঁধে দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মেয়েটিকে ছল করে বাড়ি থেকে ৬০-৭০ মিটার দূরের একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই দরজা জানলা বন্ধ করে ধর্ষণ করা হয় তাকে।
এরপর তাকে জানালা ভেঙে উদ্ধার করেন পরশিরা। এই ঘটনার ভিত্তিতে ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নাবালিকার মা। অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। সেইমতো আজ অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয়েছে।
বস্তুত, ময়নাগুড়ির ধর্ষণকান্ড নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি ময়নাগুড়িতে নাবালিকাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে যুবক। ১৩ এপ্রিল তাঁর বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবিতে শাসিয়ে আসেন মুখ বাঁধা দুস্কৃতির দল। এরপরের দিনই নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় সেই নাবালিকা। টানা ১১ দিনের লড়াই শেষে সোমবার মারা যায় সে।