মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছিল বিভিন্ন বিভাগে আগামী দেড় বছরে ১০ লক্ষ কর্মচারী নিয়োগ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এরপর থেকেই বিরোধী দলগুলো শুরু করেছে কটাক্ষের বন্যা। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেন্দ্রকে আক্রমণ শানিয়ে বললেন, "বিজেপি যা প্রতিশ্রুতি দেয় তা কোথাও বাস্তবায়িত হয় না। ১৫ লাখ টাকা করে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু ১৫ পয়সাও কারোর অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি।"
মোদির সমালোচনায় সরব হয়ে পার্থবাবু বলেন, "বলেছিলেন প্রতি বছর ২ কোটি লোকের চাকরি হবে। উল্টে বেকারিত্বের হার রেকর্ড করেছে। আর এখন ১০ লক্ষ চাকরির কথা বলছেন।" তাঁর সংযোজন, "কত লক্ষ মানুষ কর্মচ্যুত হয়েছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পগুলি ধুঁকছে কিংবা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তিকরণের ফলে কত জন চাকরি হারিয়েছেন, তার হিসেব যদি তাঁরা দিতেন, তবে দেখা যেত কর্মসংস্থানের চেয়ে কর্মচ্যুতির রেকর্ড গড়েছে বিজেপি সরকার।" পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন তিনি।
এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শব্দবান শুনেই পাল্টা আক্রমণের খাঁড়ায় শান দিলেন বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্য। তিনি বললেন, "দীর্ঘ আট বছর রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর আমলে মাত্র দু'বার টেট হয়েছে। এই মূহূর্তে রাজ্যের স্কুলগুলিতে শিক্ষক, অশিক্ষক, গ্রুপ ডি কর্মী মিলিয়ে সাড়ে তিন লক্ষের বেশি শূন্যপদ রয়েছে। অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতি ও বিভিন্ন অর্থনৈতিক কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পদে নিয়োগ করা যায়নি। সেই পদগুলিতে এখন নিয়োগ হচ্ছে।" তৃণমূলকে বিদ্ধ করে তাঁর উবাচ, "রাজ্য সরকার ডিএ দিতে পারছে না। সার্বিকভাবে ব্যর্থ সরকার। যারা দুর্নীতির পঙ্কিলতায় রাজ্যটাকে ডুবিয়ে একটা প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের কোনও নৈতিক কিংবা রাজনৈতিক অধিকার নেই এই নিয়ে কথা বলার।"