দোষ করলে শাস্তি পেতে হবে এমনটা আগেই জানিয়েছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁকে সমর্থন করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষও জানিয়েছিলেন দোষী প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল। সেই মর্মে এবার মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণ করা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শিল্প ছাড়াও পরিষদীয়, তথ্যপ্রযুক্তি, শিল্প, পুনর্গঠন দপ্তর তাঁর হাতে ছিল। তাকে সেখান থেকেও সরিয়ে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিবৃতিতে জানান, "আমাদের দল কঠোর। আমরা পার্থ চ্যাটার্জিকে মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছি।" দপ্তরগুলির দায়িত্ব এবার সামলাবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। অর্থাৎ স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, ত্রাণ-উদ্বাস্তু পুনর্বাসন, তথ্যপ্রযুক্তি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন, পরিকল্পনা রূপায়ণ, শিল্প বাণিজ্য, পরিষদীয় দপ্তর এবং শিল্প পুনর্গঠন দপ্তরের দায়িত্ব এসে পড়ল খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাঁধে।
গত কয়েক দিনে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২২ কোটি টাকা এবং ৪ কোটি মূল্যের সোনা। গতকাল রাতে বেলঘরিয়ার রথতলা এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ২৮ কোটি টাকা এবং বেশ কয়েক কেজি সোনা। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই সবই নিয়োগ দুর্নীতির ঘুষের টাকা। গত ২২ জুলাই নাকতলার আবাসনে গিয়ে মন্ত্রীকে টানা ২৭ ঘণ্টা জেরা করেছিল ইডি। এরপর শনিবার তাকে দশ দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়। তখনই অনুমান করা যাচ্ছিল যে দল তাকে আর রাখতে চাইবেনা। সেই মর্মে মঙ্গলবার পার্থর গাড়ি বিধানসভায় জমা নেবার পর ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হয়। আর এবার শেষমেষ সরাসরি অপসারণ করা হল এককালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।