আবারও নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছে রাজ্য সরকার। ২১৮ টি হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান এর নাম ঘোষণা করে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দপ্তর আবারো বিতর্কের মুখে। এই তালিকায় রয়েছেন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর নামও। অতিসম্প্রতি শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে দুর্নীতি করে মেয়েকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করার অভিযোগ উঠেছিল। আর এবারে কোচবিহার হলদিবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন পরেশ অধিকারী।
অন্যদিকে কলকাতা মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত হয়েছে নির্মল মাজি এবং তার জায়গায় নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন বিধায়ক ডাক্তার সুদীপ্ত রায়। এবারে চিকিৎসক নির্মল মাজিকে আমতা গ্রামীণ হাসপাতাল রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুসারে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তো বটেই গ্রামীণ হাসপাতাল পিছু একজন রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে আগামী দিনে রোগী পরিষেবার মান আরো উন্নত হবে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
বীরভূমের দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতাল আর নাকরাকোনডা গ্রামীণ হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হয়েছেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দি রায়। পশ্চিম বর্ধমানের বল্লভপুর গ্রামীন হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হয়েছেন সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা নলমুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হয়েছেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় দেখভালের দায়িত্ব থাকবে এই রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান এর উপরে। একইসঙ্গে হাসপাতালে কোনরকম পরিষেবা জনিত সমস্যা হচ্ছে কিনা সেদিকে কড়া নজর রাখবেন তিনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এলাকার হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হওয়ায় হাসপাতালে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হবে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার অনির্বাণ দলুই।