সম্প্রতি খুন করা হয়েছে পানিহাটি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে। অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় শম্ভুনাথ পণ্ডিত খুন করেন কাউন্সিলরকে। একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়েছিল কাউন্সিলরকে। এ নিয়ে কার্যত ক্ষোভের শেষ নেই। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা। কার্যত উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শম্ভুনাথ পন্ডিত ছাড়াও আরও ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল এ বিষয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, এডিজি আইনশৃঙ্খলা, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি সিআইডি-সহ পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে রাজ্য পুলিশ। যদিও গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরেই পানিহাটি পৌঁছেছে সিআইডি’র প্রতিনিধিদল।
এর মধ্যেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মা’ সম্বোধন করে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পুরসভার নিহত তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আবেদনও করতে চান তিনি।
মীনাক্ষী দত্তের কথায়, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মা। ওনার কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ, তাঁর সঙ্গে এক বার যেন আমি দেখা করতে পারি। আমার যা বলার ওনাকে বলব। আমার দু’টি সন্তান আছে। তাদের নিয়ে আগামী দিনে আমি কী ভাবে চলব? তা আমি মায়ের কাছ থেকে জানতে চাই। আমি চাকরি চাই না। যে যুদ্ধে নেমে অনুপম জীবন হারিয়েছে, সেই যুদ্ধে আমি যাতে পায়ে পা মিলিয়ে চলতে পারি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে সেই আশীর্বাদ যেন করেন। আমি সক্রিয় রাজনীতিতে আসতে চাই।"